ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রামুর গহিন পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানা

অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ আটক চার
রামুর গহিন পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানা

কক্সবাজারে রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহিন পাহাড়ে ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব; এ সময় ঘটনাস্থল বেশ কিছু অস্ত্র ও তৈরির সরঞ্জামাদিসহ চারজন কারিগরকে আটক করা হয়।

তবে অভিযানের টের পেয়ে পালিয়ে যায় কারখানাটির মালিক ও অস্ত্র তৈরি প্রধান কারিগর মনিউল হক।

গতকাল ভোররাতে উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলী পাহাড়ে এই অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানান র‌্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন।

আটক অস্ত্র তৈরির কারিগররা হলো- জাফর আলম, লাল মিয়া, মাঈন উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন।

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহিন পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে কারখানা গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরি করে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্র। গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অস্ত্রের কারখানার সন্ধানে র‌্যাবের একটি চৌকশ দল অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে গতকাল ভোররাত ৫টার দিকে ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলি এলাকার পাহাড়ে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র‌্যাব। এ সময় কারখানটিতে অবস্থানকারী দুই কারিগরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিজেদের বসত ঘর থেকে আরো দুই কারিগরকে আটক করা হয়। অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে- বিভিন্ন ধরনের দেশীয় তৈরি ১০টি বন্দুক, ১০টি রাইফেলের গুলি, ১২টি কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি। র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আটকরা প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে কারখানা গড়ে তুলে তৈরি অস্ত্র বিভিন্ন অপরাধীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। এলাকাটি দুর্গম পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় তাদের অপকর্ম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির বাইরে ছিল। আটকরা সন্ধান পাওয়া কারখানাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা আরো কয়েকজনের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে।’

গহিন এ পাহাড়ি এলাকায় আরো কয়েকটি অস্ত্র তৈরির কারখানা থাকার তথ্যও রয়েছে বলে জানান সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলার করার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত