ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, শিক্ষা খাতের পাশাপাশি বাজার অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমেও নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, যেসব রাষ্ট্রে পুরুষের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়েছে, সেসব রাষ্ট্র তত উন্নত ও সমৃদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও নারীদের অবদান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা আরো এগিয়ে নিতে জ্ঞান ও শিক্ষায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি নারীদের আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে তাদের বেশি করে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ও কমিশনার অধ্যাপক ড. শাইখ শামসুদ্দীন আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ‘স্ট্রাটেজিস ফর প্রমোটিং জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড ইনক্লুসিভ মার্কেট সিস্টেমস : সেনসিটাইজিং মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিস অন জেন্ডার ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী এই কর্মশালায় বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস’র ২৮ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
