মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ
দুই অভিযুক্তকে চার্জশিট থেকে বাদ অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলার তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রধান দৃই অভিযুক্তকে বাদ দিয়ে দেয়া অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেননি আদালত। এটি অধিকতর তদন্ত করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে কক্সবাজারস্থ টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আখতার জাবেদ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা দায়েরা ও জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
তিনি জানান, আদালত ওই মামলাটি কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কে অধিকতর তদন্ত করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালকে নেতৃত্বে কক্সবাজারের টেকনাফে গত ২৪ সেপ্টেম্বর এক অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই অভিযানে ৭০০ গ্রাম হিরোইন, ৫৩ হাজার ইয়াবা, ৩টি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, একটি বিদেশি পিস্তল, ১৪১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, তিনটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও ৭ জন পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের টেকনাফ বিশেষ জোনের পরিদর্শক বিদ্যু বিহারী নাথ বাদী হয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বরে টেকনাফ থানায় ৭ জনকে আসামি করে ২টি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১ নং আসামি টেকনাফ সদর ইউপির গোদার বিলের আবু সৈয়দের ছেলে আবদুল্লাহ, ২নং আসামি একই ইউপির উত্তর লম্বরির হোছন আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল কাদের, ৩নং আসামি পশ্চিম গোদারবিলের ইমাম হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদ প্রকাশ শাহেদ, ৪নং আসামি পশ্চিম গোদারবিলের ইমাম হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সালেম প্রকাশ শাহ আলম, ৫নং আসামি দক্ষিণ লেঙ্গুরবিলের হোসাইন আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সাদেক প্রকাশ সাদ্দাম, ৬নং আসামি দক্ষিণ লেঙ্গুর বিলের বশির আহমদের পুত্র আনোয়ার ও ৭নং আসামি গোদার বিলের কালা মিয়ার ছেলে মো. কাসিম।
এর মধ্যে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে টেকনাফ থানায় জিআর মামলা নং-৬৯০, তাং- ২৫. ০৯. ২০২৩ ইং মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের উপ-পরিদর্শক তুন্তু মনি চাকমা। অপর অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলাটি টেকনাফ থানার এক কর্মকর্তার কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।
এর মধ্যে মাদক আইনের মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের উপ-পরিদর্শক তুন্তু মনি চাকমা মামলার ১নং আসামী আবদুল্লাহ ও ২ নং আসামি মোহাম্মদ আবদুল কাদেরকে বাদ দিয়েই দেড় মাসের মাথায় গত ১০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত: গত ১৪ ডিসেম্বর দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ এ বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মামলার নির্ধারিত দিন অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছে।