যারা দাঁত ব্যথা বা দাঁতের যন্ত্রণায় ভোগেন তারা বোঝেন এর মর্ম। শীতে যেন এই ব্যথা আরেকটু বেশি হয়ে যায়। অনেকেই দাঁত ভালো রাখতে তাই পেইন কিলারের মতো ওষুধে ভরসা রাখেন। মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে দাঁত ভালো থাকা জরুরি। বাড়ির আশপাশেই এমন কিছু পাতা রয়েছে যা দাঁতের ব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এমন কিছু পাতার হদিস চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পুদিনা পাতা : চাটনি কিংবা চা’য়ে হয়তো পুদিনা পাতা ব্যবহার করেন মাঝেমধ্যে। এই পাতাই কিন্তু দাঁতের জন্য বেশ উপকারি। খেয়াল করে দেখবেন, অনেক হার্বাল টুথপেস্টে পুদিনা পাতার কথা উল্লেখ থাকে। এটি দাঁতের পাশাপাশি জিভও ভালো রাখতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতা কীভাবে খাবেন? সকাল সকাল কয়েকটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। অনেকের মাড়িতে দুর্গন্ধ হয়। এক্ষেত্রে পুদিনা থেঁতো করে দাঁতের মাড়িতে ঘষলে তা দুর্গন্ধ দূর করে। পুদিনা পাতা খেলে বা এর রস লাগালে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। দাঁত সাদা ও মজবুত হয়।
পেয়ারা পাতা : দাঁতের বহু সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে পেয়ারা পাতার গুণে। এতে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুণ। আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টও। মুখের দুর্গন্ধ থেকে শুরু করে দাঁত ও মাড়ির নানান সমস্যা রুখতে পারে উপকারি এই পাতা। পেয়ারা পাতা কীভাবে খাবেন? দুটি পেয়ারা পাতা নিয়ে ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে ফেলে দিতে পারেন। কিংবা হাতে চিপে নিয়ে তা দাঁতে ঘষে নিন। এরপর সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ কুলকুচি করুন। এতে দাঁতের সমস্যা হবে দূর।
কারি পাতা : নানারকম রান্নায় ফোঁড়ন হিসেবে কারিপাতা ব্যবহার করা হয়। এটি দাঁতের জন্যও উপকারি। কারিপাতায় থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি দাঁত ও মাড়ি শক্ত করে। মুখের দুর্গন্ধও কমায়। কারিপাতা কীভাবে খাবেন? সকালে কাঁচা কারিপাতা চিবিয়ে রস খেলে উপকার পাবেন। পাতা চিবিয়ে বাকি অংশ ফেলে দিন। এই পাতার গুণে মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মরে যায় বলে দাবি করা হয়। এছাড়াও কারিপাতা সামান্য ফুটিয়ে নিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করে নিলেও দাঁত দারুণ ঝকঝকে হয়। কারিপাতা না ফুটিয়ে নিতে চাইলে কারিপাতার তেল দুই ফোঁটা ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। দাঁতের যত্নে এসব পাতার ব্যবহার কি আগে জানা ছিল আপনার? ঘরোয়া এসব উপায় কাজে লাগিয়েও যদি সমাধান না মেলে তবে দ্রুত একজন দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।