সুসংবাদ প্রতিদিন

জয়পুরহাটে পুষ্টিবাগানে লাভবান কৃষক

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় অনাবাদি ও পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মুজিব শত বর্ষ উপলক্ষ্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কারিগরি সহযোগিতায় সড়কের পাশে অনাবাদি পতিত জমিতে পারিবারিক নিরাপদ পুষ্টিবাগান গড়ে তুলেছেন স্থানীয়রা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। গঙ্গাপ্রসাদ আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী সোহেল, রুশি খাতুন, ময়দা বেগম, লিচু পাহান, নির্মল রবিদাস, কুলসুম ও জয়নুল আবেদীন জানান, সরকারের দেওয়া ঘরের পাশাপাশি পতিত থাকা দেড় শতাংশ জমিতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। ফেরোমন ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে পোকামাকড় দমন করা হয়। পুষ্টিবাগানে রয়েছে মরিচ, লালশাক, শিম, লাউ, বরবটি, বেগুণ, পুঁইশাক, ধুন্দল, কলমিশাক, ঢ্যাঁড়স, করলা ইত্যাদি। এছাড়া জমির চারপাশ দিয়ে কলা, আম পেয়ারা, জাম ও লিচুর গাছ লাগানো হয়েছে। পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে পারিবারিক পুষ্টিবাগান থেকে। মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কারিগরি পরামর্শ প্রদান করছেন। এক ইঞ্চি জায়গা যেন পড়ে না থাকে, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০টি করে পারিবারিক পুষ্টিবাগান গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক। বসতবাড়ির আঙিনার পাশাপাশি বিশেষ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের যেখানে পতিত জমি রয়েছে সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারিবারিক নিরাপদ পুষ্টিবাগান গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে পারিবারিক পুষ্টিবাগান পরিবারের নিরাপদ পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।