কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে সাড়ে ৫৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। এতে তিন রোহিঙ্গাসহ আটক করা হয়েছে চারজনকে।
অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র্যাব-১৫। গতকাল দুপুরে এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
আটকরা হলেন টেকনাফ জাদিমোড়াস্থ ২৭ নম্বর ক্যাম্পের মৃত মীর আহমদের ছেলে কামাল হোসেন (২৪), একই ক্যাম্পের রশিদ আহমেদের ছেলে আব্দু রাজ্জাক (৩৭) ও মৃত নজির হোসেনের ছেলে কামাল হোসেন (২৮)।
কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, গত রোববার বিকালে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের জাদি পাহাড়ের প্রধান গেটে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে র্যাব। একপর্যায়ে একটি সিএনজি অটোরিকশাকে তল্লাশিকালে যাত্রীবেশে থাকা তিনজনের গতিবিধি সন্দেজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে এবং তাদের দেহ ও সাথে থাকা পলিব্যাগ তল্লাশি করে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে চারটি মোবাইল ফোন সেট, পাঁচটি সিম কার্ড ও নগদ ৩ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়।
মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা তাদের ইয়াবা কেনা-বেচা চক্রের আরো এক রোহিঙ্গাসহ তিনজন পলাতক মাদক কারবারির নামণ্ডঠিকানা প্রকাশ করে। তারা জানায়, মিয়ানমারের নাগরিক হওয়ায় নিজ দেশের বিভিন্ন এলাকা ও সেখানকার পরিস্থিতি ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করায় এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে তারা ধারণা লাভ করে। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মাদক কারবারি চক্রটি স্থানীয় মাদক কারবারিদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আসছিল। পলাতক অজ্ঞাত মাদক কারবারিদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা সংগ্রহসহ আটকে অভিযান অব্যাহত আছে। আর আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অপর এক অভিযানে সাড়ে ৬ হাজার ইয়াবাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে এক বার্তায় এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।
আটক আসাদুল্লাহ (৩০), টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ বাজারপাড়ার বাসিন্দা মৃত মৌলভী দলিলুর রহমানের ছেলে। মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, গত রোববার রাতে টেকনাফ পৌরসভাস্থ শাপলা চত্বর এলাকায় তল্লাশি চালানো জন্য চেকপোস্ট স্থাপন করে। এ সময় এক ব্যক্তি একটি কালো রঙের প্রাইভেট কার ঝর্ণা চত্বর থেকে মেরিন ড্রাইভের দিকে দ্রুত গতিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। সন্দেহজনকভাবে গাড়িটি তল্লাশি করার জন্য সিগন্যাল দিলে এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া করে আসাদুল্লাহকে আটক করা হয়। পরে গাড়িটি তল্লাশিকালে কৌশলে লুকানো সাড়ে ৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধারসহ প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়ের এবং আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।