কক্সবাজার-ঢাকাগামী ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেসের’ টিকিট নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্বপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা গত রোববার বিকালে এই মামলাটি দায়ের করেন। আদালত কক্সবাজারের ঝিংলজায় অবস্থিত আইকনিক রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কোথায় যাচ্ছে, কোনো সিন্ডিকেটের কবলে কালোবাজারি হচ্ছে কি না, কারা জড়িত এসব তদন্ত করতে র্যাব-১৫ কে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
মিচ মামলা নম্বর ০৩/২০২৩ (সদর) বলা হয়েছে, সম্প্রতি গণমাধ্যমে কক্সবাজারের ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়- একটি সিন্ডিকেট এসব টিকিট বাগিয়ে নেয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন, যা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ১৯০ (১) (সি) ধারায় আমলে নেয়ার প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার নজরে আসেন। এটি ১৯৭৪ এর ২৫ ধারায় অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে- মর্মে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় তদন্ত জরুরি।
১১ নভেম্বর কক্সবাজারে স্বপ্নের ট্রেন উদ্বোধন হলেও বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী কক্সবাজার এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করে ১ ডিসেম্বর থেকেই। কক্সবাজার থেকে ঢাকা প্রথম যাত্রী নিয়ে রেল চলাচলের পর থেকে এই টিকিটকে নিয়ে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে হৈ-চৈ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে এটা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারে রেলের টিকিট শতভাগ কালোবাজারী সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে। আর অতিরিক্ত দেড় থেকে ২০০ টাকা দেয়া হলেই মিলছে টিকিট। যেখানে প্রতিদিনই কাউন্টারে গিয়ে পাওয়া যায় না। কোনো টিকিট আর অনলাইনেও ৮টায় ১ বা ২ মিনিটের মধ্যে উধাও হয়ে যায় সব টিকিট। বিষয়টি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, আদালতের আদেশটি হাতে পৌঁছেছে। যথাযথভাবে তদন্ত করবে র্যাব।