ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার দুই সপ্তাহ পর পুরোনো এলসির ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হলেও বেশি লাভের আশায় পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে রেখেছেন আমদানিকারকরা। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারিরা ১০০ টাকা কেজি দর হাকালেও আমদানি কারকরা পেঁয়াজ বিক্রি না করায় পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন পাইকারীরা।
গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আমদানিকারক শহিদুল ইসলামের পুরোনো এলসির টেন্ডার করা দুটি ভারতীয় পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। ভারতে লিখিত অনুমতি পেতে বেশ কিছু দিন সময় লাগায় পেঁয়াজের গুনগত মান কিছুটা নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারক।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি সেলিম জানান, গত ৭ ডিসেম্বর ভারত সরকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে চরম বিপাকে পড়তে হয় আমদানিকারকদের। ভারতের রপ্তানিকারকরা পুরোনো এলসির টেন্ডার করা পেঁয়াজগুলো রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে তারা অনুমতি পান। এরপর কিছু আইনি জটিলতা থাকায় এতো দিন পেঁয়াজগুলো রপ্তানি করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজগুলো ভারতে নাসিক ও ব্যঙ্গালোরসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সেখান থেকে আসতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগে। এর সাথে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর ভারতে ১৩ দিন গাড়িতে রপ্তানির জন্য আটকে ছিল।
পেঁয়াজের পাইকারি ক্রেতা রজিত আলী জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা ব্যাপক। পেঁয়াজ আমদানির খবরে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনলে লোকসান গুনতে হবে। তাই পেঁয়াজ না কিনেই ফিরে যেতে হচ্ছে।