দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর গোয়ালপাড়া গ্রামের গোপাল চন্দ্র ঘোষের ডেইরী খামারে ৮৮টি গরু ও ৬টি মহিষসহ ৯৪টি গবাদি পশু ছিল। ৪ ডিসেম্বর আকস্মিকভাবে ৫-৬টি গরুর ক্ষুরারোগের লক্ষণ দেখা দেয়। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর থেকে ৩ বছর বয়সি দুইটি গর্ভবতী গাভী মারা যায়। আক্রান্ত গরুগুলোর চিকিৎসার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে যোগাযোগ করেনি। গত ৭ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৫টি গরু ও একটি মহিষের মৃত্যু ঘটে। বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: ওসমান গণি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং একটি মেডিকেল টিম গঠন করে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো: নজরুল ইসলামকে অবহিত করলে তার নির্দেশনায় কৃষিবিদ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: আলতাফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গতকাল দুপুরে বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হলরুমে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে দিনাজপুর জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আশিক আকবর তৃষা বলেন, ওই খামারে পর্যাপ্ত গবাদিপশু পালন, নিয়মিত টিকা প্রদান না করা এবং ডাক্তারদের সঙ্গে কোনো রকম পরামর্শ না করার কারণে ৪৫টি গরু ও ১টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: গোলাম কিবরিয়া, বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: ওসমান গণি, কাহারোল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সরফরাজ হোসেন ও বীরগঞ্জ উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শামীমা বেগম।