কষ্টদায়ক এক সমস্যা মুখে ঘা হওয়া। এটি হলে খাওয়া-দাওয়া করতে এবং কথা বলতে সমস্যায় পড়তে হয়। দীর্ঘদিন মুখে ঘা হলে তা উপেক্ষা না করাই ভালো। এটি মুখে আলসারের লক্ষণও হতে পারে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোনের সমস্যার কারণে এই সমস্যা হতে পারে। অনেকে দাঁতের পাটি ঠিক করতে ব্রেসেস পরেন। তাদেরও মাঝেমধ্যে এই সমস্যা হতে পারে। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতি হলে মুখে ঘা হতে পারে, যা আলসারের লক্ষণ। মুখে ঘা হলে কিছুদিন ঝাল ও টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। নয়তো মুখে জ্বালা অনুভূত হতে পারে। সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। সেসঙ্গে প্রচুর পানি পান করতে হবে। এছাড়া কোন ঘরোয়া উপায়গুলো কাজে লাগালে মুখের আলসারের তীব্র যন্ত্রণা থেকে চটজলদি রেহাই পাবেন, জেনে নিন-
কুলকুচি করুন : মুখের আলসার কমাতে ঈষদুষ্ণ পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম মিলবে। দিনে তিন থেকে চারবার এমনটা করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
নারকেল তেল : মুখের ঘা দূর করতে ভূমিকা রাখে নারকেল তেল। ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারকেল তেল লাগিয়ে রাখুন। আরাম পাবেন।
মধু লাগান : ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগাতে পারেন। বেশ উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে ভালো সুফল মিলবে।
হলুদ : যেকোনো ঘা সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেখানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছুদিন ব্যবহারেই তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
বেকিং সোডা : ঘা সারাতে দারুণ উপকারী বেকিং সোডা। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।