সুসংবাদ প্রতিদিন
সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছে কৃষক
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
সরষে ফুল, সরষে ফুল, হাওয়ায় হাওয়ায় খেলে দোল, হিম হিম পরশে, ঝিমঝিম নড়ে সে, বালিকার কর্ণে, অপরূপ বর্ণে, খেলে যায় দুল দুল, সরষে ফুল, সরষে ফুল। কবি রুহুল আমীন রৌদ্র তার ‘সরষে ফুল’ কবিতায় জলন্ত প্রমাণ।
ময়মনসিংহে গফরগাঁওয়ে দিগন্তজুড়ে প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি মাঠভর্তি হলুদ রঙা সরিষাগাছের দোলা দেখলে যে কারো মন দুলে উঠবে। সবার চোখ আটকে যাবে। উপজেলার সরিষা ক্ষেতগুলোর হলুদ সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে সড়কের যাত্রী ও পথিককে। আর তাতে মুগ্ধ হচ্ছেন পথচারীসহ সবাই। সরিষা ফুলের হলুদের সৌন্দর্য মানুষ শুধু নয় শস্য শ্যামল বাংলাকেও মুগ্ধ করে হাসি ফোটায় কৃষকের মুখে। গফরগাঁও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৭২৫ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে উপজেলার টাঙ্গাব ও চরআলগী ইউনিয়নে। উপজেলায় সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। শীতের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। যেন সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছে কৃষক। গফরগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রকিব আল রানা জানান, চলতি মৌসুমে গফরগাঁও উপজেলায় চরাঞ্চলসহ ১৫টি ইউনিয়নে সরিষা আবাদ হয়েছে। তিনি আরো জানান, সরিষা উৎপাদন করলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়, ইউরিয়া সারের সাশ্রয় হয়, সরিষা ক্ষেত থেকে মধু উৎপাদন করা যায়। ভোজ্য তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, তাছাড়া সরিষার খৈল জৈব সার ও গো-খাদ্যের উপকার করে। হলুদ রঙের এই ফুলটিতে চারটি পাঁপড়ি থাকে। একটি সরিষা গাছের জীবনধারায় আনুমানিক ২০০টির মতো ফুল ফুটে, একটি গাছ ১ হাজার শস্যবীজ তৈরি করতে সক্ষম হয়। শীতকালে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে গ্রামের মাঠে মাঠে এবং চরাঞ্চলে সরিষা খেতের চোখ জোড়ানো নয়নাভিরাম দেখতে পাওয়া যায়।