৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে পদসংখ্যা বাড়িয়ে নতুন করে পছন্দক্রম (চয়েজ) নেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রার্থীরা আন্দোলন করছেন। একই সঙ্গে তারা নন-ক্যাডারের ফল পৃথকভাবে প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে প্রার্থীদের সেই দাবি পূরণ করা হবে কি না, তা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে ক্যাডার পদসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে থাকা এক হাজার ৮১৪ পদের সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরো চার শতাধিক পদ। ফলে দুই হাজার দুইশ’র বেশি ক্যাডার পদে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হতে পারে। এর সঙ্গে নন-ক্যাডারে এক হাজার ৩৪২টি পদে নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি।
সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএসে চলতি সপ্তাহে নিয়োগের সুপারিশ পেতে যাচ্ছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রত্যাশী। এটিই হবে প্রথমবারের মতো ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে একসঙ্গে ফল প্রকাশ।
গতকাল পিএসসির একজন সদস্য ও পরীক্ষা শাখার তিনজন কর্মকর্তা জানান, ক্যাডার পদ কিছুটা বাড়লেও নন-ক্যাডারে বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই। চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে একসঙ্গে ফল প্রকাশ করা হবে। ক্যাডারে যে পদগুলো বাড়ছে তার মধ্যে কৃষি, খাদ্য, রেলওয়ে, কর ও প্রাণিসম্পদে। সম্ভবত সবচেয়ে বেশি বাড়ছে কৃষি ক্যাডার। প্রায় দুইশ’র মতো কৃষি ক্যাডার পদ বাড়ানো হচ্ছে। আগামীকাল কিংবা পরের দিন ফল প্রকাশ হতে পারে।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী-এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এর সঙ্গে আরও চারশ’র মতো পদ বাড়ছে। ফলে সব মিলিয়ে দুই হাজার দুইশ’র বেশি পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হতে পারে।
এদিকে, নন-ক্যাডার পদ বাড়ানো এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল পৃথকভাবে প্রকাশের দাবিতে টানা তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন কিছু ফলপ্রত্যাশী। তবে তাদের দাবি নিয়ে পিএসসিতে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনাও হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
