সীতাকুণ্ডে এক রাতে তিন খুন : এলাকায় আতংক
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের একজনকে গুলি করে এবং অপর দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর তিনটি খুনের ঘটনায় উপজেলাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে।
গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বারৈয়ারঢালা পশ্চিম লালানগর, সোনাইছড়ি ও জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় পৃথক এ তিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন- বিএনপি নেতা নুর মোস্তফা বজল (৪৮), ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর (৩৭) ও জঙ্গল ছলিমপুরের মোঃ ইমন (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের লালানগর গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় বিএনপি নেতা মোস্তফা বজলের সাথে মামাত ভাই সন্ত্রাসী ও ডাকাত তৌহিদের সামাজিক ও পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার রাত ৯টার সময় মৌলভীপাড়া দোকানের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বজল। এ সময় ডাকাত তৌহিদ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে মোস্তফাকে লক্ষ্য করে প্রথমে কুপিয়ে দেয় এবং দুটি গুলি করার পর তার ডান হাতের কব্জিও কেটে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বজল বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন।
এদিকে সোনাইছড়ি এলাকায় একইদিন রাত ১০টার সময় বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা মোঃ আলমগীর নামে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় অন্ধকারে পড়ে থাকার বেশ কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাটিয়ারী বিএসবিএ হাসপাতাল এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। তিনি সোনাইছড়ি ইউনিয়নের গামারীতলা গ্রামের হাসেম মাস্টার বাড়ির আফাজউল্লার ছেলে। আলমগীর তিন মাস আগে বিদেশ থেকে ফিরে নিজ গ্রামে একটি মুদি দোকান দেন। কে বা কারা কী কারণে আলমগীরকে হত্যা করেছে তা এলাকাবাসী বুঝতে পারছে না।
এছাড়াও ওই দিন রাতে আরো একটি ঘটনায় উপজেলার জঙ্গল ছলিমপুর এলাকার ২নং সমাজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোঃ ইমন নামে একজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা ইমনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার সময় ইমন মারা যান।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল উদ্দিন তিন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জায়গাজমির বিরোধ নিয়ে মামাতো ভাইয়ের হাতে খুন হন মোস্তফা বজল। খুনি তৌহিদ একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন ধরনের ১৮টি মামলা রয়েছে। এসব খুনের ঘটনার তদন্তানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুনিদের আটকের অভিযান চলছে।