টানা ১০ দিন সর্বনিম্ন তামপাত্রা
পঞ্চগড়ে সকালের মিষ্টি রোদে কমেছে শীতের তীব্রতা
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এসকে দোয়েল, পঞ্চগড়
কুয়াশার চাদর কাটিয়ে পৌষে রোদ ঝলমলে সকালের দেখা মিলছে উত্তরের হিমকন্যা জেলা পঞ্চগড়ে। সকালে শীতের তীব্রতা থাকলেও জনপদে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যের স্বস্তি। সকাল থেকেই নিম্ন আয়ের মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ফিরছেন কাজে।
গতকাল নবম দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন রোববার ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও এ জেলায় গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। আবহাওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
গতকাল সকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ঝলমলে রোদ উঠেছে। ফলে জনপদে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যের স্বস্তি। কমেছে শীতের তীব্রতা। নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে কাজে যেতে দেখা গেছে। কেউ পাথর তুলতে, কেউ চা বাগানে, কেউ বীজতলাসহ দিনমজুরি কাজ করতে বেরিয়েছেন।
সায়েদ আলী, আকবর আলী, আলাউদ্দিনসহ স্থানীয়রা জানান, তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে সকালের মিষ্টি রোদে কনকনে শীতের অনুভূতিটা কমেছে। তবে সন্ধ্যা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভব হচ্ছে। আমাদের অঞ্চলে এ শীত মৌসুমে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও বিকেল গড়তেই শুরু হয় হিমেল হাওয়া। সে হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে ঠান্ডা লাগে।
সাঈদ, দেলোয়ার ও হামিদ আলী নামের কয়েকজন ভ্যানচালক জানান, সকালেই ভ্যান নিয়ে বেড়িয়েছি। ঠান্ডা কমেছে। সকালে রোদ ওঠায় ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে ভাড়া মারতে পারছি। লোকজনও ভ্যানে উঠছে।
পাথর শ্রমিক কামাল হোসেন, জুয়েল, একরামুল জানান, ঠান্ডা কমেছে। তবে নদীর পানি ঠান্ডা। কিছু করার নেই। জীবিকার তাগিদেই নদীতে নেমে পাথর তুলতে কাজে যেতে হচ্ছে। একই কথা বলেন চা শ্রমিকরা।
এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, রোববারের চেয়ে সামান্য তাপমাত্রা বেড়ে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা দেশের সর্বনিম্ন। গতকাল ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিশেষ করে হিমালয়বিধৌত এলাকায় এ উপজেলাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। আগামীতে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।