ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বয়স অনুযায়ী ভাত খান

বয়স অনুযায়ী ভাত খান

ওজন কমাতে অনেকেই নানা রকম ব্যায়াম করে থাকেন। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ায় ঠিকমতো নজর না দিলে কোনো লাভ হয় না। বরং ওজন বাড়তে থাকে হু হু করে। বেশিরভাগ ওজনের নেপথ্যে থাকে অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া। আমাদের খাওয়ার মধ্যে প্রধান কার্বোহাইড্রেট ভাত। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে অনেকেই ভাত বলতে একটাই পরিমাণ বোঝেন। কিন্তু সব বয়সে একই পরিমাণ ভাত খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। বরং বয়স অনুযায়ী ভাতের বিভিন্ন পরিমাণ রয়েছে। এই পরিমাণ মেনে খেলেই আর ওজন বাড়বে না। শিশু অবস্থায় অর্থাৎ দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সের বাচ্চাকে সারা দিনে দেড়-দুই কাপ ভাত দিতে হবে। ছয় থেকে দশ বছর বয়সি শিশুকে একই পরিমাণ ভাত দিন। এর সঙ্গে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটের উৎস হিসেবে দুটি রুটি দিতে পারেন। ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সিদের জন্য তিন-চার কাপ ভাত যথেষ্ট। ১৭-২০ বছর বয়সিরাও একই পরিমাণ ভাত খাবেন। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটের উৎস হিসেবে দুটি রুটি দেওয়া যেতে পারে। ভাত ও রুটির এই হিসেব মেনে চলতে হবে ২১-৩০ বছর বয়সেও। তবে কায়িক শ্রম বেশি করলে আধ-এককাপ বেশি ভাত খেতে পারেন। ৩১-৪২ বছর বয়সিরা দিনে তিন কাপ ভাত এবং দুটি রুটি খান। এতেই শরীরের কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজন মিটবে। ৪২ বছরের পর দিনে আড়াই কাপ ভাত এবং দুটি রুটির বেশি খাওয়া ঠিক নয়। খেয়াল রাখবেন, এটি শুধু কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ। এর পাশাপাশি নিয়মিত খেতে হবে শাকসবজি, ডিম, মাছ-মাংস ও ফলমূল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত