ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টানা ১১ দিন পঞ্চগড়ে কুয়াশার চাদর ভেদ করে জেগে ওঠে পুবালি সূর্য

টানা ১১ দিন পঞ্চগড়ে কুয়াশার চাদর ভেদ করে জেগে ওঠে পুবালি সূর্য

শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশা থাকার কথা থাকলেও ভোরে কুয়াশার চাদর কাটিয়ে জেগে ওঠে পুবালি সূর্য। সূর্যের রঙিন কিরণে রোদ ছড়িয়ে পড়ায় বেড়েছে তাপমাত্রা। এতে করে শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় জনপদে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যের স্বস্তি। সকাল থেকেই নিম্ন আয়ের মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফিরছেন কাজে।

গতকাল সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘন্টা আগে ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লেও এ জেলায় গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। সকালে আবহাওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরে হালকা কুয়াশা দেখা গেলেও কুয়াশা ভেদ করে জেগে ওঠে পুবালি সূর্য। এতে রোদ ছড়িয়ে পড়ায় ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যের স্বস্তি। চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, কৃষকসহ অন্যান্য পেশার মানুষদের সবাইকে কাজে যেতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে এখন আর ঘন কুয়াশা নেই। সকালেই রোদ ওঠায় তাপমাত্রা বেড়েছে। সকালের মিষ্টি রোদে কনকনে শীতের অনুভূতিটা কমেছে। তবে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের মাত্রাটা বেশি অনুভব হচ্ছে। আমাদের অঞ্চলে এ শীত মৌসুমে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও বিকাল হলেই হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সে হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে ঠান্ডা লাগে।

আব্দুল হামিদ, বাহার ও দেলোয়ারসহ ভ্যানচালক জানান, আগের মতো ঠান্ডা কম ভাই। তাই সকাল সকাল ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছি। ঠান্ডা কমেছে। সকালে রোদ ওঠায় ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে ভাড়া মারতে পারছি। লোকজনও ভ্যানে উঠছে।

পাথর শ্রমিক জুয়েল, আরিসসহ কয়েকজন জানান, ঠান্ডা না থাকলেও নদীর পানি খুব বরফের মতো ঠান্ডা। কিছু করার নেই। জীবিকার তাগিদেই নদীতে নেমে পাথর তুলতে কাজে যেতে হচ্ছে। একই কথা বলেন চা শ্রমিকরা।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা বেড়ে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গতকাল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। যা দেশের সর্বনিম্ন। তাপমাত্রা বাড়লেও গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিশেষ করে হিমালয় বিধৌত এলাকায় এ উপজেলাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত