পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানকে তার নিজের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনি বৈঠক করার অনুমতি দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)।
গতকাল ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেব এক রায়ে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তপশিল অনুযায়ী, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে দেশটিতে। ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআইও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের কারাবাস এবং ৫ বছরের নির্বাচন নিষেধাজ্ঞার দণ্ডপ্রাপ্ত ইমরান খান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না- তা এখনও অনিশ্চিত।
তার আইনজীবীরা অবশ্য নিম্ন আদালতের এ রায় স্থগিতের আবেদন করে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেছেন। তবে সেই আপিলের ওপর এখনও শুনানি শুরু হয়নি সর্বোচ্চ আদালতে। বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। এদিকে, সম্প্রতি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দেন পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা। সেই পিটিশনে তারা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দলের নীতি নির্ধারত ও কৌশল ঠিক করতে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তারা।
গতকাল আইএইচসির এজলাসে শুনানির জন্য পিটিআইয়ের পিটিশনটি ওঠে। এ সময় পিটিআইয়ের আইনজীবী দল, আদিয়ালা কারাগারের সুপারিন্টেডেন্ট এবং পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে দুইপক্ষের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা যদি মনে করেন যে নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করার জন্য দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে তারা আলোচনা করতে চান, তাহলে তা তারা করতে পারেন এবং সেজন্য পিটিআইয়ের প্রতিনিধি দল আদিয়ালা কারাগারেও যেতে পারেন। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক কোনো বাধা নেই। ‘তবে দলের বর্তমান চেয়ারম্যান গওহর খানের নেতৃত্বে দলের শীর্ষ নেতারাই কেবল এই বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন,’ রায় ঘোষণার সময় বলেন বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেব।