দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গাছিরা। শীত যত বাড়ছে, খেজুরের গুড়ের চাহিদাও ততই বাড়ছে। তাই দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় খেজুর রস সংগ্রহ ও রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।
স্থানীয়রা জানায়, ভারত সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের খেজুর গাছের সংখ্যা বেশি। রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আসা গাছিরা শীতের শুরুতেই গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করে। দিনাজপুর জেলার প্রায় দুই হাজার খেজুর গাছ আছে। এসব খেজুর গাছ থেকে রস আহরণ ও গুড় তৈরি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।
দিনাজপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আসা খেজুর রস সংগ্রহকারীরা খেজুরের গুড় তৈরির কাজে চলে এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা গুড় তৈরির কাজ করে আসছেন। বছরের পাঁচ মাস তারা এই কাজ করেন দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে। বাকি সময় এলাকায় থেকে অন্য ব্যবসা করেন। প্রতি কেজি খেজুরের গুড় বাজারে পাইকারদের কাছে ১৮০ টাকায় এবং খুচরা ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ঘরে ঘরে খেজুর রসের পিঠা, পায়েশ, গুড়ের মুড়ি-মুড়কি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরির ধুম পড়ে এ সময়। তবে অনেকেই বলছেন, বাজারে চিনির দাম বেশি এবং চিনির দামের থেকে একটু বেশি হলেও সুস্বাদু হওয়ায় খেজুরের গুড়ের চাহিদা রয়েছে বেশ। অনেকে খেজুরের গুড় কিনতে ভীড় করেন গুড় তৈরির কারখানায়। স্থানীয়রা জানান শীতকালে খেজুর গুড় বা নলেন গুড় ছাড়া বাঙালির চলে না। শীত মানেই পিঠাপুলি-পায়েশ, আর খেজুর গুড় ছাড়া ভাবাই যায় না। বর্তমানে অবশ্য ভেজালের যুগে এই গুড়ের স্বাদ আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না।