কক্সবাজার সৈকতে ছিনতাইয়ের কবলে ৫ পর্যটক
তিন রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট-সংলগ্ন ‘পর্যটন ছাতা মার্কেটে’ পাঁচ পর্যটককে সংঘবদ্ধ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত তিন ছিনতাইকারি রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আপেল মাহমুদ জানান, শুক্রবার গভীর রাতে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের বাসিন্দা হামিদ হোছেনের ছেলে মো. নুর কামাল (১৯) এবং একই এলাকার মো. বশিরের ছেলে মো. ফারুক (২০) ও নুরুল কবিরের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (১৯)। ছিনতাইয়ের শিকার পর্যটকরা হলেন- কুমিল্লা শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ডিসামন এলাকার মোমিন মিয়ার ছেলে আসিফ মিয়া (২২) এবং একই এলাকার তার বন্ধু মো. সায়মন (১৮), মো. সুমন (৩৯), মো. হৃদয় (২০) ও মো. ইয়াছিন (৩৩)।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার সকালে কুমিল্লা থেকে বাসযোগে পাঁচ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। তারা বাস থেকে নেমে হিমেল হাওয়ার পরশ নিতে লাবণী পয়েন্ট সমুদ্রসৈকতে যান। পথিমধ্যে লাবণী পয়েন্ট-সংলগ্ন পর্যটন ছাতা মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে চারা থেকে পাঁচজনের একদল ছিনতাইকারি তাদের গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পর্যটকদের কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন সেটসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ছিনিয়ে যায় ছিনতাইকারিরা।
এডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, গত শুক্রবার সকালে ঘটনার পরপরই ভূক্তভোগী পর্যটকরা সৈকতে কর্তব্যরত ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পরই জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারসহ নানাভাবে তৎপরতা চালায়। এতে তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ সক্ষম হয়।
শুক্রবার গভীর রাতের একপর্যায়ে পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুর কামাল ও মো. নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারাক্তি মতে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে মো. ফারুক নামের আরেকজন রোহিঙ্গা ছিনতাইকারিকে গ্রেপ্তার করেছে।
অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক বলেন, গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ঘটনায় চারজন রোহিঙ্গা যুবক ছিল ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। ঘটনায় জড়িত অপর রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করে কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান আপেল মাহমুদ।