জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর-সদরের একাংশ) সংসদীয় আসনে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরই মধ্যে পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনি এলাকা। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তানভীর শাকিল জয়ের (নৌকা) প্রচারণায় সরগম হয়ে উঠেছে মাঠ। এ আসনে অপর তিন প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির মনোনীত মোঃ জহরুল ইসলাম (লাঙ্গল), বিএনএম মনোনীত প্রার্থী মোঃ সবুজ আলী (নোঙ্গর), জাসদ মনোনীত প্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম (মশাল)। এই তিন প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারণা এখনো তেমন জমে ওঠেনি। এ আসন আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত রয়েছে। এজন্য নৌকার প্রার্থী ছাড়া এ আসনে ভোটযুদ্ধে কোনো প্রার্থী নাই। কারণ হিসেবে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, শহীদ ক্যাপটেন এম মনসুর আলী ছিলেন জাতীয় চার নেতার একজন এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়। অর্থাৎ, তিনি শহীদ ক্যাপটেন এম মনসুর আলীর নাতি। তানভীর শাকিল জয় এমপি এবারও তার বাবার আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী। তার বাবা মোহাম্মদ নাসিম এই আসন থেকে ছয়বার নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তৃৃতীয়বারের মতো লড়ছেন তারই সুযোগ্য ছেলে তানভীর শাকিল জয়। জাতীয় কোনো নির্বাচনেই এই আসনে নৌকা পরাজিত হয়নি এবং নৌকার বিপরীত প্রার্থীদের অনেকের জামানত বাতিল হয়। এ নির্বাচনেও তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনি মাঠে নেমে পড়েছেন এবং তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। ভোট প্রচারণায় এরই মধ্যে মাঠ সরগম হয়ে উঠছে। তবে তার বাবার আমলে ও বর্তমানে এ নির্বাচনি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। অনেক ভোটার বলছেন, এ আসনে নৌকা প্রার্থী ছাড়া আর কোন প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা নাই। এবারও তানভীর শাকিল জয় বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। এদিকে ওই তিন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা গ্রামঞ্চলে ভোট প্রচারে নেমেছেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। তবে তারা নতুন মুখ হওয়ায় এ নির্বাচনে তাদের প্রচার জমে উঠছে না। জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থীর প্রচারণা কিছুটা চোখে পড়ার মতো। আগামী ৭ জানুয়ারি সারাদেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে নারী-পুরুষ মিলে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭২ জন এবং ১১৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এরই মধ্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।