কুষ্টিয়ায় ১০ দিন ধরে ব্যাংক কর্মকর্তা নিখোঁজ

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের ১০ দিনেও সন্ধান মেলেনি এক ব্যাংক কর্মকর্তার। গত ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন বলে স্বজনদের দাবি।

নিখোঁজের নাম রাজিব আহমেদ (৪০)। তিনি পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তিনি জেলার ভেড়ামরা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর রাতে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন ওই কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন। ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী জানান, দুই সন্তান নিয়ে তিনি মাসখানেক ধরে তার বাবার বাড়ি খোকসায় আছেন। তার স্বামী কুমারখালীর শেরকান্দি এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে নিয়মিত ব্যাংকে যাওয়া আসা করেন। গত ২১ ডিসেম্বর রাতে তার স্বামী মুঠোফোনে তাকে জানিয়েছিলেন শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) তিনি গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারা যাবেন।

এরপর ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার সঙ্গে কথা বলে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর থেকে স্বামীর ফোন বন্ধ পান তিনি।

তিনি আরো জানান, ওই দিন বিকেল থেকেই তিনি তার স্বামীর স্বজন, বন্ধুসহ সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরে থানায় জিডি করেছেন।

তার ভাষ্য, স্বামী রাজিবের কোনো শত্রু ছিল না। তবে তাদের সংসার জীবনে কিছুটা পারিবারিক কলহ ছিল।

ব্যাংক কর্মকর্তার বড় ভাই সাইদুল ইসলাম সান্টু জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করছেন তারা। থানাতেও গিয়েছেন। তবুও ভাইকে পাননি তিনি।

তার ভাষ্য, স্ত্রীর সঙ্গে তার ভাইয়ের পারিবারিক কলহ ছিল। বউয়ের হাতে মারধর পর্যন্ত খেয়েছেন তার ভাই।

পূবালী ব্যাংক কুমারখালী শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল হামিদ জানান, রাজিব খুব ভদ্র, নম্র ও ভালো মানুষ ছিলেন। অফিসে কারো সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য ছিল না। কথা কম বলতেন। গত ২০ ডিসেম্বর শেষ অফিসে এসেছিলেন রাজিব। জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।