দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছে চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কম উৎপাদন খরচে আলুর বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। জমি থেকে পাইকাররা ৪৫ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় ২০ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১৭ মেট্রিক টন। কৃষকরা জানান এসব আগাম জাতের আলু মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ দিন পর খেত থেকে তোলা শুরু করা হয়েছে। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। আলু বিক্রি করার জন্য হাটে নিয়ে যেতে হচ্ছে না। পাইকাররা জমি থেকে আলু ৪৫ টাকা কেজিতে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকরা বলেন, গত বছর আলুর দামটা কম ছিল উৎপাদন খরচটা বেশি ছিল। এবার আলুর বাজার ভালো আবার ফলন ভালো হয়েছে তাই এবার লাভ একটু বেশি হচ্ছে। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু করেছে। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগাম জাতের আলুর ফলন তুলনামূলক কম হয় তারপরও এবার ফলন মোটমুটি ভালো হয়েছে। কৃষক বর্তমান বাজারে আলু দাম বেশ ভালো পাচ্ছে। এর পরের মৌসুমে আগাম জাতের আলু লাগানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আগে ধান কেটে জমি ফেলে রাখতেন কৃষক এখন তিনটি ফসল উৎপাদন করছে তারা। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ২০ মেট্রিক টন। বাজারে আলু দাম ভালো থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।