ওবায়দুল কাদের

৭ তারিখে খেলা হবে ফাইনাল খেলা

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঢাবি প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭ তারিখে খেলা হবে, ফাইনাল খেলা। বিএনপি কোথায়? পালিয়েছে কেন? এখন বোমা মারবে। তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। বিএনপি হচ্ছে ভুয়া, ওদের আন্দোলন, এক দফা, মানববন্ধন, পদযাত্রা সব আন্দোলন ভুয়া। এখন কি করে? অবরোধ-হরতাল। কিছুই মানে না পাবলিক।

গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রলীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিবাজ, লুটেরারা সাবধান। খেলা হবে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। ৭ জানুয়ারি সারাদিন, সকাল-সন্ধ্যা খেলা হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির নতুন বছরের উপহার এক কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থান। বিএনপিকে লাল কার্ড দেখানো হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে চিরতরে লাল কার্ড দেখানো হবে। তারা অপেক্ষায় আছে আটলান্টিকের ওপার থেকে নিষেধাজ্ঞা আসবে। ভুয়া, ভুয়া। শেখ হাসিনা নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা করে না। শেখ হাসিনা আটলান্টিকের ওপারের নিষেধাজ্ঞাকে ভয় পান না। তিনি ভয় পান একমাত্র সৃষ্টিকর্তাকে। তিনি ভালোবাসেন বাংলাদেশের জনগণকে। বাংলাদেশের মাটি ও জনগণ আমাদের শক্তির উৎস।

ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ছাত্র রাজনীতিকে সাধারণ ছাত্রদের মাঝে আকর্ষণীয় করতে হবে। ছাত্রলীগের সাধারণ সভায় ছাত্রলীগ থাকবে; কিন্তু সাধারণ ছাত্র থাকবে না এটা অর্থহীন। স্মার্ট মানেই ভাষণ দেয়া নয়। গতানুগতিক একটা ভাষণ দিলাম, ১৯৪৮ সাল থেকে একটা ভাষণ দিলাম এটা কেউ এখন মানে না। কথা বলতে হবে চোখের ভাষা, মনের ভাষা দিয়ে। এসব কথা মন শুনতে চাইবে, পছন্দ করবে। গদবাধা মুখস্থ কবিতা পড়ে নেতা হওয়া যাবে না। রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অফিসে সময় দেওয়ার দরকার নাই। পড়ালেখা করো। যত পড়বে তত শিখবে। এতে করে নেতৃত্বের গুণাবলি বাড়বে।

সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী আরো বলেন, সাধারণ ছেলেমেয়েদের বোঝাতে হবে এই দেশ ভালো লোকদের হাতে থাকলে ভালো হবে। খারাপ লোকদের হাতে থাকলে রাজনীতি মূল্যহীন হয়ে পড়বে। রাজনীতিতে মেধাবীদের আসতে হবে। তা না হলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। চরিত্রবানরা রাজনীতিতে আসতে না পারলে রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে। ছাত্রলীগ নেতাদের রুটিন করতে হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।