নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এর চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল সকালে তিনি এ ঘোষণা দেন। এই আসন থেকে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদেরও সদস্য ছিলেন। সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও তার ছেলে সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী। তিনি জানান, চেয়ারম্যান সরে দাঁড়ালেও সারাদেশে বিটিএফ ৪১টি আসনে নির্বাচনি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যাবে।
গতকাল সকালে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, নৌকার প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি। ফটিকছড়িতে দলীয় নির্বাচনি প্রচার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। অতীতে নৌকা মার্কা নিয়ে ফটিকছড়ি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ও ১৪ দলের সঙ্গে আগামীতেও কাজ করব। দেশের অন্য আসনগুলোতে আমাদের প্রার্থী থাকবে। আমার নির্বাচনি এলাকা ফটিকছড়িতে ১৮ জানুয়ারি হতে অদ্যাবধি দলীয় প্রতীক ‘ফুলের মালা’ মার্কার সমর্থনে গণসংযোগ ও পথসভা হয়েছে। ফটিকছড়ির বাগানবাজার হতে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার জনসাধারণের ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি আবেগাপ্লুত হয়েছি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৪ দলীয় জোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান জানিয়ে ও ফটিকছড়ির সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে আমি ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। চট্টগ্রাম বিভাগে দলের প্রার্থী ২৮ জন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক তরিকত ফেডারেশন। গত দুটি জাতীয় নির্বাচনে তরিকতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি সমঝোতা ছিল। তবে এবার ফটিকছড়ি আসনে আওয়ামী লীগও প্রার্থী দিয়েছে। দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, মোহাম্মদ শাহজালাল, আলমগীর আলম, মাওলানা কাজী নিজাম মোরশেদ প্রমুখ।