ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন

চট্টগ্রামে ১৬ আসনে লড়াই করছেন ১২৫ জন

চট্টগ্রামে ১৬ আসনে লড়াই করছেন ১২৫ জন

সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও শেষ হয়েছে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা। গত শুক্রবার রাত ১২টায় নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ১৬টি সংসদীয় আসনে ২ হাজার ২৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে রয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও অপরাধ দমনে শুক্রবার সকাল থেকে মাঠে নেমেছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তারা ভোটগ্রহণের আগের দুই দিন, ভোটের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দুই দিন নির্বাচনি অপরাধ দমনে কাজ করবেন। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এ সময়ে দায়িত্ব পালনকালে কোনো নির্বাচনি অপরাধ বিচারার্থে আমলে নেওয়া হলে সেই প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) বরাবরে পাঠাবেন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে ৩২ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। চট্টগ্রামে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে আমাদের কিছু নাই, আমাদের এখানে কিছু রিমোট প্লেস (দুর্গম এলাকা) রয়েছে। র‌্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ১৬টি নির্বাচনি আসনের বিপরীতে ৫০টির বেশি স্ট্রাইকিং টিম (টহল দল) এবং পাঁচটিরও বেশি সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা দল নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম রিজিয়নে ১৭৭ প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য মাঠে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। এবার চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ১২৫ জন। এদের মধ্যে নৌকা, স্বতন্ত্র ও আরও বিভিন্ন দলের প্রার্থী রয়েছে। ১৬ আসনে মোট ভোটার ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন ও নারী ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৩টি। বুথের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৩২টি।

ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে কম আগ্রহ লক্ষ্য করা গেলেও অনেকে আবার নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে হিসেব কষতে শুরু করেছেন। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চকবাজার এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার বলেন, আগের মতো নির্বাচনি আমেজ এখন আর চোখে পড়ে না। নিজের মতো করে যে কাউকে পছন্দ করব এমন কোনো প্রার্থীও এবার পাইনি। ভোটকেন্দ্রে যাবেন কি না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো কিছু বলতে পারছি না। সুবিধে মনে হলে যাব, না হলে বাসায় থাকব। এদিকে নির্বাচন নিয়ে সোহরাব নামে আরেক এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমানে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন খুব জরুরি। কিন্তু শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে নির্বাচন আরো বেশি গ্রহণযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক হতো। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় একটি নির্বাচন এমনই হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত