সিরাজগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনের নির্বাচনি এলাকার ভোটকেন্দ্রসমূহে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ ৩১ প্রার্থী নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গতকাল সকাল ৮টা থেকে ওই নির্বাচনি এলাকার ৮৯২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং সব কয়টি কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৫ লাখ ১২ হাজার ১০০ জন। দুপুরে কেন্দ্রগুলোয় ভোটারের উপস্থিতি সংখ্যা ছিল মোটামুটি। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল বেশি। সকাল ও দুপুরে বেশকিছু কেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর তৎপরতায় বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে সিরাজগঞ্জ-৩ নির্বাচনি এলাকার ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দিনভর প্রায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেন্দ্রগুলোয় ভোটগ্রহণ করা হয় এবং বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোট গণনায় অধিকাংশ কেন্দ্রে নৌকা এগিয়ে রয়েছে। সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর-সদরের একাংশ) আসনের তানভীর শকিল জয় এমপি (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের ড, জান্নাত আরা হেনরী (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের ডাঃ আব্দুল আজিজ এমপি (নৌকা), সতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সুইট (ঈগল), সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের আব্দুল মমিন মন্ডল এমপি (নৌকা), সতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস (ঈগল)। এছাড়া সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম (নৌকা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ আসনের সতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মিরু (ঈগল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিত ও পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান। তবে সিরাজগঞ্জ-৫ আসন ছাড়া সবকয়টি আসনেই নৌকার বিজয় নিশ্চিত বলে বিশিষ্টজনরা এখন এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ্য, জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনি ভোট কেন্দ্রসমূহে ৩৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। সেইসাথে পুলিশের মোবাইল টিম ৯২টি, সেনাবাহিনীর ২৩টি পেট্রল টিম, ১৫ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ১২টি টহল টিম, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কেন্দ্রগুলোয় দায়িত্ব পালন করেন।