দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ১২ জন নির্বাচিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। আর জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের একজন নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের ১২ প্রার্থী বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। নৌকার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় ছিনিয়ে এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ঈগল প্রতীকের ২ জন এবং কেটলি প্রতীকের ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এছাড়া চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসনে এবারও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। চট্টগ্রামে এবার নতুন মুখের জয় জয়কার। সাত আসনে জয়ী হয়েছেন নতুনরা। তারা হলেন মীরসরাইয়ে মাহবুব উর রহমান রুহেল, ফটিকছড়িতে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, সীতাকুন্ডে এসএম আল মামুন, চান্দগাঁও-বোয়ালখালীতে আবদুচ ছালাম, পটিয়ায় মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আবদুল মোতালেব এবং বাঁশখালীতে মুজিবুর রহমান। এছাড়া নতুনদের কাছে হেরে গেলেন বর্তমান তিন এমপি।
গত রোববার রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে থেকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জেলার ১০ আসনে জয়ী প্রার্থীদের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। নগরী ও নগরীর সাথে সংশ্লিষ্ট ৬ আসনের রিটার্নিং অফিসার ও বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম জিমনেসিয়াম নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিন আসনে তিন স্বতন্ত্র জয়ী : তিন আসনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে কেটলি প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ঈগল প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ঈগল প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান। হেরে গেছেন তিন সংসদ সদস্য। তারা হলেন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এবং বাঁশখালী আসনে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
রোববার নির্বাচন কমিশন থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল এরপর পৃষ্ঠা ১১ কলাম ৪