জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে (ঈগল) ভোট দেয়ায় এনায়েতপুর থানা এলাকার নৌকার সমর্থকরা খামার গ্রামের কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে স্থানীয় হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত রোববার মধ্যরাতে বিজয় মিছিল থেকে নৌকার সমর্থকরা উল্লেখিত গ্রামের কয়েকটি হিন্দু বাড়ি ও প্রতিমাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। তাদের হালায় বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ভাঙ্গাবাড়ি সীমান্ত মার্কেটের বৃদ্ধ মোতালেব হোসেনকে মারধর, চায়ের দোকান ও বসতবাড়ি ভাঙচুর এবং বেতিলের সিমেন্টের একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া বেতিল বাজারের মাছ ব্যবসায়ী শাহাদত হোসেন বিশ্বাসের মাছের আড়তে হামলা এবং নান্নু বিশ্বাসের চামড়ার গোডাউন ও দোকান ভাঙচুর করেছে নৌকার সমর্থকরা। এসব ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে নৌকার সমর্থক এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সিরাজ সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ওইদিন রাতে এলাকায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিমল দাসের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানানো হয়েছে। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে এবং আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেই চেষ্টা করছি। এনায়েতপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ ব্যাপারে বিমল দাস বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন। এরইমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।