দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে জয়ী প্রার্থীরা পরস্পর কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। একে অপরকে মিষ্টি মুখও করাচ্ছেন প্রার্থীরা। চলছে ভোটের নানা হিসাব-নিকাশ। ভোট কম পাওয়ায় রেকর্ড প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। স্বতন্ত্রসহ ২০টি রাজনৈতিক দলের ৯৭ জন প্রার্থী জামানত হারান। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নির্বাচনি মাঠে ছিলেন ১২৫ প্রার্থী। ফালাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ১২ জন, স্বতন্ত্র তিনজন ও জাতীয় পার্টির একজন জয়ী হন। তাদের সাথে নির্বাচন করে কোন রকমে জামানত রক্ষা করেছেন আরো ১১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ, স্বতন্ত্র মোহাম্মদ শাহজাহান, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সুপ্রিম পার্টির সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী, বিএনএফ প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন এবং তৃণমূল বিএনপির ভিপি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে পাঁচটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান কিংবা মহাসচিব জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচনে নতুন নিবন্ধিত বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) বাদেও তরিকত ফেডারেশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বা বিএনএফের চেয়ারম্যান বা মহাসচিবরা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত রক্ষা করতে পারেননি। নির্বাচন কমিশনের হিসেব মতে এই ১৬টি আসনে ৮০ শতাংশের বেশি প্রার্থীই ভোটে তাদের জামানত রক্ষা করতে পারেননি।
ইসি সূত্র জানায়, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে ওই আসনের মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিজয়ী ১৬ প্রার্থী (আওয়ামী লীগের ১২ জন, স্বতন্ত্র তিনজন এবং জাতীয় পার্টির একজন) এবং অপর ১১ প্রার্থীসহ মোট ২৭ জনের জামানত রক্ষা হয়েছে। ৯৭ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রামে যেসব দলের প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে জামানাত হারানোর তালিকায় রয়েছে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, কল্যাণ পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, সুপ্রিম পার্টি, ন্যাপ, জাসদ, ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বিএনএফ, এনপিপি, ইসলামী ঐক্যজোট, মুক্তিজোট, গণফোরাম, মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনসহ (বিএনএম) অন্যান্য দলের প্রার্থীরা।
গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটের প্রাপ্ত ফলাফলের দেখা যায়, চট্টগ্রাম জেলায় ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৯৯৫ জন ভোটারের বিপরীতে মোট ভোট পড়েছে ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৮৪১টি, যা মোট ভোটের মাত্র ৩৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোট বাতিল হয়েছে ৭৬ হাজার ৮৭০টি।
চট্টগ্রাম-১ মীরসরাই আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী প্রার্থী মাহবুবউর রহমান রুহেল ও তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দীন ছাড়া বাকি পাঁচ প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), মো. আব্দুল মান্না, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার), মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ (টেলিভিশন), মো. নুরুল করিম আবছার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি (একতারা), শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাত পাঞ্জা) এর জামানত বাতিল হয়েছে। এ আসনে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬৪ ভোটের মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৭টি ভোট কাস্টিং হয়েছে। এর মধ্য বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৯৪৫টি। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী জামানত রক্ষার জন্য এই আসনের প্রার্থীদের পেতে হবে ১৮ হাজার ১৩২ ভোট। নৌকা প্রতীকে জয়ী মাহবুব উর রহমান রুহেল ও তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দীন ছাড়া আরও কোনো প্রার্থী নির্ধারিত ভোটের বেশি পাননি।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব ছাড়া বাকি সাত প্রার্থী স্বতন্ত্র মোহাম্মদ শাহজাহান (ঈগল), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর (ফুলের মালা), সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা), স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (ফুলকপি), মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম, ইসলামিক ফ্রন্ট (চেয়ার), মো. শফিউল আজম চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), মো. হামিদ উল্লাহ, ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি) জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ জন ভোটার। আসনটিতে ভোট বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৯৪৫টি।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী মাহফুজুর রহমান ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ছাড়া বাকি পাঁচ প্রার্থী মুহাম্মদ নরুল আনোয়ার, সুপ্রিম পার্টি (একতারা), নুরুল আকতার, জাসদ (মশাল), এমএ ছালাম, জাপা (লাঙ্গল), মুহাম্মদ উল্লাহ খান, ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), আবদুর রহিম, ইসলামিক ফ্রন্ট (চেয়ার), মো. মোকতার আজাদ খান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (আম) এর জামানত বাতিল হয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৮৭ হাজার ৫৯১টি। বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৫০৫টি।
চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুন্ডু আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী এসএম আল মামুন ছাড়া এই আসনের বাকি ছয় প্রার্থী স্বতন্ত্র লায়ন মোহাম্মদ ইমরান (ঈগল), মো. দিদারুল কবির, জাপা (লাঙ্গল), খোকন চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি (সোনালি আঁশ), শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব), মো. মোজাম্মেল হোসেন, ইসলামিক ফ্রন্ট (চেয়ার), আকতার হোসেন, (টেলিভিশন) এর জামানত বাতিল হয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ১৭২ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৮৪টি। বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৮৮৭টি।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে বিজয়ী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী ছাড়া বাকি পাঁচ প্রার্থী স্বতন্ত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম (ঈগল), মো. নাজিম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ), কাজী মহসীন চৌধুরী, সুপ্রিম পার্টি (একতারা), সৈয়দ মুক্তার আহমেদ, ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), আবু মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, বিএনএফ (টেলিভিশন), ছৈয়দ হাফেজ আহমদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) এর জামানত বাতিল হয়েছে। এ আসনে ভোট পড়েছে ৯৮ হাজার ১০৭টি। বাতিল হয়েছে ৫৩৯টি। আসনটিতে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৫ জন। এর আসনে ভোটের হার মাত্র ২০ দশমিক ৬২ শতাংশ।
চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ছাড়া বাকি চার প্রার্থী স ম জাফর উল্লাহ, ইসলামিক ফ্রন্ট (চেয়ার), মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ), মো. সফিকুল আলম চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), শফিউল আজম, স্বতন্ত্র (ট্রাক) এর জামানত বাতিল হয়েছে। চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট কাস্টিং হয়েছে এই আসনে। এ আসনে ভোটের হার ছিল ৭৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯২০ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার ১০৮টি। বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৬৩৭টি।
চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ছাড়া অবশিষ্ট পাঁচ প্রার্থী মো. মোরশেদ আলম, সুপ্রিম পার্টি (একতারা), আহমেদ রেজা, ইসলামিক ফ্রন্ট (চেয়ার), খোরশেদ আলম, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ), মুছা আহমেদ রানা, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), মো. ইকবাল হাসান, ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি) জামানত হারিয়েছেন। ৩ লাখ ৩১ হাজার ৯১ জন ভোটারের মধ্যে এই আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮০টি। ভোট বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৯৪৪টি।
চট্টগ্রাম-(বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে কেটলি প্রতীকে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী ছাড়া অপর আট প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), আবুল কালাম আজাদ, বিএনএফ (টেলিভিশন), মহিবুর রহমান বুলবুল, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব), সন্তোষ শর্মা, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ), মো. ইলিয়াছ, কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি), সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ইসলামিক ফ্রন্ট (চেয়ার), মো. কামাল পাশা, এপিপি (আম), আবদুল নবী, এপিপি’র (মোমবাতি) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪২টি। বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৩২২টি ভোট।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী ছাড়া বাকি ছয় প্রার্থী মো. ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট (চেয়ার), মিটুল দাশগুপ্ত, ন্যাপ (কুঁড়েঘর), আবু আজম, ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), মোহাম্মদ নূরুল হোসাইন, কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি), সুজিত সাহা, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ), সানজিদ রশিদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৯ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৪টি, যা মোট ভোটের ৩৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। আসনটিতে ভোট বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৩১৬টি।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম ছাড়া বাকি আট প্রার্থী নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, স্বতন্ত্র (কেটলি), ওসমান গণি স্বতন্ত্র (ঈগল), মো. ফেরদাউস বশির, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ), আলমগীর হোসেন বঈদী, ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, ইসলামিক ফ্রন্ট (চেয়ার), মিজানুর রহমান, সুপ্রিম পার্টি (একতারা), জহুরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), মো. আনিসুর রহমান, জাসদ (মশাল) এর জামানত হারিয়েছেন। আসনটিতে ভোট পড়েছে মাত্র ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ আসনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯০ জন। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১৩৪টি। বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৩৮৫টি ভোট।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী এম আবদুল লতিফ এবং তার নিকটতম স্বতন্ত্র জিয়াউল হক সুমন ছাড়া বাকি পাঁচ প্রার্থী আবুল বাসার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, ইসলামিক ফ্রন্ট (চেয়ার), মো. মহিউদ্দিন, সুপ্রিম পার্টি (একতারা), দীপক কুমার পালিত, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ), নারায়ণ রক্ষিত, এনপিপি (আম), উজ্জ্বল ভৌমিক, গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ৫ লাখ ১ হাজার ৮৪৮ জন ভোটারের বিপরীতে ভোট পড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৬২৯, যা মোট ভোটারের ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এবং তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী ছাড়া বাকি সাত প্রার্থী এমএ মতিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), এম এয়াকুব আলী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম (নোঙর), কাজী মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার), ছৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জেহাদী, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব), মোহাম্মদ নুরুচছফা সরকার, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), রাজীব চৌধুরী, তৃণমূল-বিএনপি (সোনালী আঁশ) জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪২৮ জন। এ আসনে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮৮টি। বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৮২৮টি।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ছাড়া অবশিষ্ট ছয় প্রার্থী আবদুর রব চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), মকবুল আহম্মদ চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ), মোহাম্মদ আরিফ মঈন উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি (একতারা), মৌলভী রশিদুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ), মো. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), সৈয়দ মোহাম্মদ হামেদ হোসাইন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) জামানত হারিয়েছেন। আসনে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৪ জন ভোটারের বিপরীতে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৯২১টি। যা মোট ভোটারের ৫৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী ছাড়া অবশিষ্ট ছয় প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মাহমুদ আবদুস সামাদ, ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), মো. গোলাম ইসহাক খান, বিএনএফ (টেলিভিশন), মো. আইয়ুব, বিএসপি (একতারা), আবু জাফর মো. ওয়ালিউল্লাহ জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), মো. আলী ফারুকী, তরীকত ফেডারেশন (ফুলের মালা), আবুল হোসাইন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৮৮ হাজার ১২২ জন। ভোটের দিন ভোট পড়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৭০টি। বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৮৪৪টি।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ঈগল প্রতীকে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব এবং তার নিকটতম আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ছাড়া অবশিষ্ট ৫ প্রার্থী মোহাম্মদ ছালেম, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), মো. আলী হোসাইন, ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), সোলায়মান কাশেমী, কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি), মো. হারুন, ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার), মো. জসিম উদ্দিন, মুক্তিজোট (ছড়ি) এর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ২৮ শতাংশ। ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪০৩ ভোটারের বিপরীতে ভোট কাস্ট হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৬৩টি। এ আসনে মোট ৩ হাজার ২১১টি ভোট বাতিল হয়েছে। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ঈগল প্রতীকে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান এবং তার নিকটতম অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ কবির লিটন ছাড়া অবশিষ্ট সাত প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান স্বতন্ত্র (বেঞ্চ), মুহাম্মদ মামুন আবছার চৌধুরী, এনপিপি (আম), মো. মহিউল আলম চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), এম জিল্লুর করিম শরীফি, কংগ্রেস (ডাব) আবদুল মালেক, ইসলামিক ফ্রন্ট (চেয়ার), আশীষ কুমার শীল, ন্যাপ (কুঁড়েঘর), মো. শওকত হোসেন চাটগামী, ঐক্যজোট (মিনার) জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা ভোটগ্রহণের দিন শেষ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন বাতিল করে দেয়।