জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা সতস্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা মারধর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৯ জন। এদের মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডল (নৌকা) বিজয়ী হন। এ বিজয়ী প্রার্র্থীর সমর্থকরা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সমর্থকদের উপর হামলা মারধর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্বাচনের দিন মধ্যরাত থেকে নির্বাচনি এলাকার বিভিন্ন স্থানে তাদের উপর এ হামলা চালায়। বিশেষ করে গত সোমবার ও মঙ্গলবার দফায় দফায় ওই উপজেলার মেঘুল্লা, রাজাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে এসব হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আহত ৫ জনকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নৌকা প্রার্থীর কয়েকজন সমর্থক সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা মারধর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ওসি আনিসুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, নির্বাচন-পরবর্তী বেশ কয়েকটি স্থানে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। রাজাপুর ও মেঘুল্লা গ্রামের ঘটনা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেনি এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।