ডায়াবেটিসের রোগীরা অনেকেই নিমের পাতা শুকিয়ে ট্যাবলেট বানিয়ে খেয়ে থাকেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ কোটির বেশি। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ২৩ শতাংশ। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে অনেকে ভয় পান বা মেডিসিন খেতে চান না। কারো কারো আবার মেডিসিন খেতেও সমস্যাও হয়। তবে গবেষকরা দেখেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও নানা ধরনের ভেষজ গাছের পাতা বা ফল ডায়াবেটিসের মতো নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে নিম, চিরতা এবং তকমা ডায়াবেটিসের রোগীরা বিভিন্নভাবে গ্রহণ করে থাকেন।
নিম : ডায়াবেটিসের রোগীরা অনেকেই নিমের পাতা শুকিয়ে ছোট ছোট ট্যাবলেট বানিয়ে সকাল বিকেল খেয়ে থাকেন। এর মাধ্যমে অনেকে উপকার পেয়েছেন বলেও জানান। এছাড়া বহুকাল থেকে চিকেন পক্স, চামড়ার অ্যালার্জির মতো সমস্যায় নিমের পাতা গরম পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পোকা-মাকড়ের কামড়ের ক্ষত হলে, সেখানে নিম আর হলুদের রস একসাথে মিশিয়ে লাগানো হয়। পাশাপাশি দাঁতের ব্যথার জন্যও নিমের ডালের রস ব্যবহার করা হয়।
চিরতা : এটি অনেক স্থানে কালমেঘ নামেও পরিচিত। ডায়াবেটিস রোগীরা চিরতার পাতা খেয়ে থাকেন। সধারণত পাতাগুলো গুড়ো করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অনেকে খেয়ে থাকেন। এছাড়া পেট খারাপ, ডায়রিয়া, জ্বর ও বাত ব্যথার ক্ষেত্রে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া হয়।
তকমা : হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক ও ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তাই যাদের হজমে সমস্যা আছে তারা আঁটি ভিজিয়ে খেয়ে থাকেন।