একটি উপকারি সবজি ব্রকলি। অনেকে একে সবুজ ফুলকপি নামেও চেনেন। শীতকালে এই সবজিটি বেশ সহজলভ্য। ৫০ বছর বয়সেও যদি নিজেকে তরুণ দেখাতে চান তবে অবশ্যই প্রতিদিনের ডায়েটে ব্রকলি রাখুন। ব্রকলিতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন এবং পটাসিয়ামসহ অসংখ্য পুষ্টিগুণ। ত্বককে তরুণ রাখতে এই উপাদানগুলো বেশ কার্যকরী। প্রতিদিন ব্রকলি খেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। এতে আছে ভিটামিন সি এবং কে, ফোলেট, ফাইবার যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় ব্রকলি। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এর উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদাহ মোকাবিলায়ও সহায়ক। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে এটি। সালফোরাফেন সমৃদ্ধ হওয়ায় ব্রকলি ক্ষতিকারক যৌগকে নিরপেক্ষ করে এবং ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকিও কমায়। ব্রকলিতে আছে ফাইবার যা হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখে। খিদা নিয়ন্ত্রণ করে এটি। অর্থাৎ ওজন কমাতে বেশ সহায়ক এই সবজিটি। সর্বাধিক পুষ্টি পেতে রোজকার পাতে রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। কীভাবে খাবেন ব্রকলি? সবুজ এই সবজিটি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানা গেছে, হালকা আঁচে রান্না করা ব্রকলি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। কীভাবে ব্রকলি খেলে সর্বাধিক পুষ্টি পেতে পারেন চলুন জানা যাক-
স্যুপ : শীতের মৌসুমে যদি স্যুপ খেতে ভালোবাসেন তবে স্যুপে যোগ করুন ব্রকলি। এতে এটি হবে আরও স্বাস্থ্যকর। ভেজিটেবল ব্রোথ, রসুন এবং পেঁয়াজের সঙ্গে সেদ্ধ ব্রকলির মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর স্যুপ বানিয়ে ফেলুন। ব্রকলি যে কেবল স্বাদ বাড়াবে তা নয়। বরং ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর চমৎকার উৎস হিসেবে কাজ করবে। স্বাদ অনুযায়ী স্যুপে বিভিন্ন মশলা যোগ করতে ভুলবেন না।
সালাদ : সালাদে ব্রকলি যোগ করলে পুষ্টি বাড়বে অনেকখানি। শাক, টমেটোর সঙ্গে যোগ করুন এই সবজি। সালাদ হবে আরও স্বাস্থ্যকর। এই সালাদ খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকবে। ত্বক হবে টানটান। হালকা ভাজা : সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার খেতে চাইলে বিভিন্ন রঙিন শাকসবজির সঙ্গে ব্রকলি রোস্ট করুন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য, রসুন, আদা এবং সামান্য সয়া সস যোগ করতে পারেন। পুষ্টিকর উপায়ে এভাবে ব্রকলি খাওয়া হয়তো প্রতিদিন সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত একদিন ডিনারে এটি রাখুন।