সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মওলানা ছাইফ উদ্দিন এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নাকি রাতের অন্ধকারে হয়েছে। এ নিয়োগ পরীক্ষা কোথায় হয়েছে কেউ জানে না এখনও। এ নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ, নিয়োগ বিধিমতে ওই বিদ্যালয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে ডিজির প্রতিনিধি, শিক্ষা অফিসার, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। কিন্তু গত ২১ ডিসেম্বর ওই নিয়োগ পরীক্ষা কোথায় হয়েছে, সে বিষয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ, খালেদা খাতুন ও হাসান মনসুর মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, এ নিয়োগের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। এ নিয়োগের ৩ সপ্তাহ পার হলেও ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ, খালেদা খাতুন ও হাসান মনসুর সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, নিয়োগের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। এমনকি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, শিক্ষা অফিসার কেউ বলতে পারেননি এই নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ে এবং নিজেকে প্রধান শিক্ষক দাবি করে আসাদুল্লাহ জানান, সব নিয়ম মেনেই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগকালীন (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন তিনি। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইলিমগীর মাসুদ জেমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদৎ হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি তিনিও। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: কামরুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, নিয়োগ বিষয়ে ইউএনওদের সংযুক্ত না থাকায় নানা অনিয়মের কথা শোনা যায় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, ডিজির প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তার মাধ্যমে এ নিয়োগ হয়ে থাকে। এজন্য ওই প্রতিষ্ঠানে এ নিয়োগ বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়োগে অনিয়মের কথা দেখেছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।