ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে

কুয়াশা-হিমেল বাতাসে স্থবির জনজীবন

কুয়াশা-হিমেল বাতাসে স্থবির জনজীবন

টানা দুই দিন শৈত্যপ্রবাহের পর তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। মাঘের শুরুতে তাপমাত্রা উঠেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।

গতকাল সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের দাপটে শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ১২ জানুয়ারি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার পর দুই দিন ১৩ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৩ ও ১৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে এ জেলায়। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল থেকে শুরু হয়েছে মাঘ মাস।

গত এক সপ্তাহের মতো ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে ছড়াচ্ছে শীতের তাণ্ডব। রাতভর কুয়াশার সঙ্গে হিমেল শিশিরের মতো ভোর থেকে ঝরছে বৃষ্টির মতো শিশির।

তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। প্রয়োজনের বাইরে ঘর থেকে শহরের মানুষজন বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়েছেন তারা।

এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের পেশাজীবীর মধ্যে পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রমজীবীরা বিপাকে পড়েছেন। শীতের কারণে কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। টানা ঘন কুয়াশায় বীজতলা কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত