যশোরে ২০ বস্তা সরকারি সার উদ্ধার
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
যশোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউপি চেয়াম্যান সোহরাব হোসেনের গোডাউন থেকে ২০ বস্তা সরকারি বিএডিসির এমওপি সার উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসান চেয়ারম্যানের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এ সার জব্দ করেন। পরে চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেলের কাছ থেকে সেই সার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া দোকান মালিক শাহাবুউদ্দিন আহম্মেদকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে, চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল উদ্ধার হওয়া সারের বৈধতা দাবি করে একটি ক্যাশমেমো প্রদান করেন, যা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। কিন্তু কোন দোকান থেকে এসব সার কেনা হয়েছে, তার নাম জানাননি কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী। বিষয়টি নিয়ে রহস্য তেরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহামুদুল হাসান জানান, চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল একটি ক্যাশমেমো দেখিয়েছেন, যা যাচাই-বাছাই চলছে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান করতে মাঠে নেমেছেন। যদি এ সারের বৈধতা না পাওয়া যায় তাহলে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় ঝুমঝুমপুরের চেয়ারম্যান সোহরাবের গোডাউন থেকে তারই নির্দেশে হামিদপুর গ্রামে ২০ বস্তা সরকারি এমওপি সার হামিদপুর বাজারের নয়ন এন্টারপ্রাইজে আনেন নসিমন চালক সাইফার আলী। সার, সিমেন্ট ও কীটনাশক বিক্রেতা শাহাব উদ্দিন আহম্মেদের কাছে তা বিক্রি করার অভিযোগে স্থানীয়রা তাদের ২০ বস্তা সারসহ হাতেনাতে ধরেন। বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের সোপর্দ করে। রাতেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসান ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে চেয়ারম্যানের ঝুমঝুমপুরের গোডাউনে অভিযান চালান। সেসময় কাউকে না পেয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় গোডাউন। সকালে ঝুমঝুমপুরের সেই গোডাউন থেকে আরো ২০ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। সকাল থেকেই উত্তেজিত জনগণ পুরো এলাকায় অবস্থান করছেন। তারা বলছেন শুধু সার চুরি নয়, চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নানা ধরনের অনিয়মের সাথে জড়িত। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই চেনেন না। একই সাথে এসব বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান স্থানীয়রা। তারা বলেন, একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পাঁয়তারা করছে। মূল ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে একটি ক্যাশমেমো ব্যবহার করা হচ্ছে।