রোজা শুরুর আগে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
গতকাল বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কমিশনের অনুমোদনক্রমে রোজা শুরু আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হতে পারে।
অশোক কুমার বলেন, উপজেলার তালিকা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হতে পারে। কীভাবে করবে, ধাপে ধাপে নাকি একবারে করবে, এভাবে যদি সিদ্ধান্ত দেয়, ইসি সচিবালয় প্রস্তুত আছে। রোজা শুরু হওয়ার আগে হয়তো হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনযোগ্য হয়েছে ৪৮৫টি, এরকম তালিকা পেয়েছি। ইনফ্যাক্ট সবই তো নির্বাচনযোগ্য, কারণ ২০১৮ সালের মার্চের দিকে নির্বাচন হয়েছিল। এসএসসি পরীক্ষা, রোজাসহ সবকিছু বিবেচনা করবো। আমাদের দেশে রোজায় নির্বাচন কম হওয়ার প্র্যাকটিস আছে। সেক্ষেত্রে হয়তো রোজার আগে হতে পারে, পরবর্তী ধাপ ঈদের পরে হতে পারে। প্রথম ধাপের ভোট হয়তো ঈদের আগে হতে পারে।
সংরক্ষিত নারী আসনের ভোট হতে পারে ফেব্রুয়ারিতে : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের ভোট ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। গতকাল বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে কমিশন সভার মাধ্যমে। অশোক কুমার বলেন, সংসদ সদস্য যারা ভোটার তাদের তালিকা পেয়েছি। সেটার খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। খসড়া তালিকায় কারও আপত্তি না থাকলে আমরা সেটা চূড়ান্ত ভোটার হিসেবে ২৯৯ জন সংসদ সদস্যকে ঘোষণা করবো। তিনি আরও বলেন, সংসদ থেকে খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে, সে তালিকায় কোনো আপত্তি না থাকলে আগামী সপ্তাহে সেটা নির্বাচন কমিশনে উঠবে, কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার পর সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জানুয়ারি মাসে হওয়ার সম্ভাবনা কম, ফেব্রুয়ারি মাসে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার বিপুল স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে, সে জায়গাগুলোতে সংরক্ষিত আসন বণ্টন কীভাবে হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হবে, এ বিষয়ে কমিশনের তেমন কোনো বক্তব্য নেই। রাজনৈতিক দল কোটা অনুযায়ী, কয়টা আসন পাবে সেটা বলে দেওয়া হবে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, আমরা এখনো স্থানীয় সরকার থেকে কোনো চিঠি পায়নি, চিঠি পেলে এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।