দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদিত সবজির আশানুরূপ দাম পাওয়ায় সবজি চাষিরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন সবজি চাষে। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের সবজি চাষি পরিক্ষিত চন্দ্র রায় বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও এক বিঘা জমিতে ফুল কপি, বাঁধা কপি ও টমেটোসহ মুলা চাষ করা হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগসহ পোকামাকড়ের রোগ বালাই না থাকায় সবজি খেত থেকে ভালো সবজির ফলন পাওয়া গেছে। সবজি আবাদে খরচ হয়ে সব মিলিয়ে ২৫ হাজার টাকা। তবে সবজি বিক্রি করে আয় হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাতটি ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমি, যা পুরোপুরি অর্জিত হয়েছে। উপজেলার পাঠকপাড়া গ্রামের সবজি চাষি প্রদীপ রায় বলেন, টমেটোসহ শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন এক বিঘা জমিতে। সার, কীটনাশকসহ আনুষঙ্গক খরচ হয়েছে, তার চেয়ে দ্বিগুণ অর্থে টমেটোসহ শীতকালীন সবজি বিক্রি করে আয় হয়েছে। উপজেলার শিবনগর ও দৌলতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সবচেয়ে বেশি আলু, পেঁয়াজ, শিম, মরিচ, হলুদ, করলা, ঢ়্যাঁড়শ, বরবটি, খিরাসহ নানা ধরনের শাকসবজি উৎপাদিত হয়। গত ক’বছর থেকে কৃষকরা উৎপাদিত শাকসবজির দাম আশানুরূপ পাওয়ায় দিন দিন এসব চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, এজন্য দিন দিন এসব চাষের পরিমাণও বাড়ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, এ বছর ফুলবাড়ী উপজেলায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। এগুলো আবাদের জন্য প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে প্রণোদনা হিসেবে সার, বীজসহ সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নে ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আবাদের সার্বিক অবস্থা মনিটরিং করা হয়ে থাকছে। ফলে এসব শাকসবজির উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে কৃষকও লাভবান হচ্ছেন।