টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এ বছর সুপারির উৎপাদন ভালো হয়েছে। আপতকালীন সময়ে হাটবাজারে সুপারি বিক্রি করে সংসারের চাহিদা মিটছে অনেকের। সুপারির চাহিদাও বেড়েছে। হাটবাজারে সুপারির ভালো দাম ও লাভজনক হওয়ায় জেলার সুপারিচাষিরা খুব খুশি। তাই অনেকেই এখন বাড়ির আঙিনা এবং পরিত্যক্ত জায়গায় সুপারি গাছের চারা রোপণ করছেন। উপজেলার গোবিন্দাসী, নিকরাইল, শিয়ালকোলসহ বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা হাটে সুপারি পচরা নিয়ে বসে আছেন। দূর-দূরান্তের সুপারি ব্যবসায়ীরা এসব সুপারি কিনে থাকেন। এবার প্রতি পিস সুপারি এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন চাষিরা। ব্যবসায়ীরাও লাভের আশায় সুপারি কিনে মজুত করছেন। কয়েড়া গ্রামের সুপারি বিক্রেতা শাহীনুর রহমান বলেন, বাড়ির আশপাশে লাগানো সুপারির গাছ থেকে প্রতি বছর ৪-৫ হাজার টাকার সুপারি বিক্রি করি। এবার গতবারের চেয়ে সুপারির দাম ভালো পাচ্ছি। যে সময়ে হাতে কোনো টাকা-পয়সা থাকে না তখন সুপারি বিক্রি করে সংসারের চাহিদা ও অন্যান্য কাজে লাগানো যায়। ছানোয়ার মন্ডল বলেন, সারা বছরই কমবেশি সুপারি বিক্রি বিক্রি করা হয়। সুপারি গাছে পরিচর্যা করতে হয় না। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার সুপারি ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি সুপারি এসেছে। অনেক লাভবান হব। আশা করছি, আগামী বছরে আরও বেশি সুপারির ফলন হবে। ব্যবসায়ী কাদের মিয়া বলেন, হাটবাজার থেকে পাইকারি দরে সুপারি কিনে কাঁচা সুপারি স্থানীয় চা-দোকানসহ বিভিন্ন দোকানগুলোতে বিক্রি করে থাকি। আর পাকা সুপারিগুলো মাটিতে পুঁতে রেখে সেগুলো মজিয়ে তুলে অধিক মূল্যে বিক্রি করা যায়। পাশাপাশি অনেক সময় সুপারি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। ব্যবসায়ী আজমত আলী বলেন, সুপারির আকার ভেদে বিক্রেতাদের থেকে সুপারি কিনে থাকি। বর্তমানে ছোট সুপারি শতকরা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, মাঝারি ১৬০ থেকে ১৮০ এবং বড় মাপের সুপারিগুলো ২০০ টাকা দরেও অনেক সময় কিনে থাকি। এবার বেশি দামে সুপারি কেনা হচ্ছে। তবে, এবার লাভ ভালো হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আরিফুর রহমান বলেন, সুপারি চাষের জন্য অনুকূল আবহাওয়া সৃষ্টি হওয়ায় এ উপজেলায় সুপারির ফলন ভালো হয়েছে, যা দেখে এলাকার মানুষ সুপারি চাষে উৎসাহী হচ্ছে। সুপারিগাছের মালিকরা প্রতি বছরই সুপারি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। হাটবাজার সুপারির অনেক চাহিদা রয়েছে।