শুরুতেই চিন্তিত ছিলেন কৃষক নুর আলম। চাষি হিসেবে বিভিন্ন ফসল ও সবজি চাষ করলেও প্রথমবার গাজর চাষ করা তার জন্য ছিলো অনেকটা পরীক্ষামূলক। তবে সে পরীক্ষায় সফল হয়েছেন মিরসরাইয়ের কৃষক নুর আলম। তার রোপণ করা গাজরের গাছে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। বাগানের কছি পাতাগুলো আর লাল টকটকে গাজর যেন সাক্ষ্য দিচ্ছে নুর আলমের সফলতার। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উপজেলার মিরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামে ৫০ শতক জমিতে গাজর চাষ করেন কৃষক নুর আলম। এখন ঘরে তুলছেন দ্বিগুণ লাভের এই সবজি। স্বল্প খরচে দিগুণ লাভ হওয়া গাজর চাষিই আগ্রহ বাড়ছে। প্রথমবারের মতো গাজর চাষ হওয়ায় বাগান দেখতেও সাধারণ মানুষের জনসমাগম দেখা গেছে। এলাকার অনেক চাষিই আগ্রহ দেখাচ্ছে গাজর চাষ করতে। স্থানীয়রা জানায়, এই প্রথম গাজর চাষ হয়েছে এই এলাকায়। গাজরের বাগান দেখতে অনেক সুন্দর। অনেকে ছবি তুলে রাখছেন জমিতে এসে। এলাকার অনেক চাষি গাজর চাষ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে। চাষি নুর আলম বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমবারের গাজর চাষ করছি। সামনে আরো ভালোভাবে চাষ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। নিজ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। কৃষি অফিস সহযোগিতা করছে। বাজারে গাজরের ভালো দাম। ১ লাখ টাকার মতো বিক্রি করা যাবে বলে জানান তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, গাজর পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি সবজি। অর্থকারী ফসল হিসেবে কৃষি খাতে গাজর একটি সম্ভাবনাময় ফসল। সঠিকভাবে বাজারজাত করা ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে কৃষক উপকৃত হবেন। এছাড়া কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গাজর চাষে কৃষকদের সব রকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আশা করি আগামীতে মিরসরাইতে গাজর চাষে কৃষক এগিয়ে আসবেন এবং এ থেকে প্রচুর লাভবান হবেন।