জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভবনগুলোর ঐতিহ্যের আদলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দ্রুতই প্রধান ফটকসহ দৃষ্টিনন্দন দুটি গেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলো নিজস্ব ঐতিহ্য বহন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঐতিহ্যের আদলে প্রধান ফটক ও দ্বিতীয় ফটকে দৃষ্টিনন্দন দুটি গেট নির্মাণ করা হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে শিল্প সংস্কৃতির দিক দিয়ে ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পাসে রূপ দেয়া হবে। যেন ভেতরে ঢোকার সময় বোঝা যায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে।
জানা যায়, গত বছরের জানুয়ারিতে প্রধান ফটক, দ্বিতীয় ফটক ও ছাত্রী হলের ফটক মিলে তিনটি গেট নির্মাণের জন্য কমিটি গঠন করেন প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক। কিন্তু এরপর তিনি দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থসহ মৃত্যুবরণ করায় কাজটি এগোয়নি। বর্তমান উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম যোগদানের পর তিনিও ক্যাম্পাসের ফটকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে দৃষ্টিনন্দন গেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আপাতত বিশ্বিবদ্যালয়ের দুটি ফটকের গেট নির্মাণের কাজ শেষ করতে চান উপাচার্য। এ গেট নির্মাণের জন্য গঠন করা কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফ-উল-আলম, সদস্য সচিব হিসেবে উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলামসহ সদস্য হিসেবে রয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন ও প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী। গেটের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, গেট নির্মাণের জন্য আমাদের কমিটি একাধিক মিটিং করেছি। জরিপসহ তিনটি নকশা তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান উপাচার্যকে আমরা প্রেজেন্টেশন করেছি। তিনি কিছু মডিফাইড করতে বলেছেন। এদিকে এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের নিজস্ব গৌরবময় ইতিহাস আছে। কলেজ আমল থেকে প্রধান ফটক ও দ্বিতীয় ফটকে সাদামাটা দুটি গেট রয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কত সুন্দর গেট রয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন গেট হচ্ছে এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে আইন পাশের মাধ্যমে ১৫০ বছরের অধিক পুরোনো প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেয়া হয়। কলেজ ক্যাম্পাসের অবকাঠামো ও এর বাইরে ১৪ তলা একাডেমিক ভবনে চলছে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম। সাধারণ পিলারের ওপর সাদামাটা ও অনেক পুরোনো হওয়ায় ভঙ্গুর রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেট। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে দৃষ্টিনন্দন গেট করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।