ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বাভাবিকতায় ফিরল পাকিস্তান-ইরান সম্পর্ক : কর্মস্থলে ফিরছে রাষ্ট্রদূত

স্বাভাবিকতায় ফিরল পাকিস্তান-ইরান সম্পর্ক : কর্মস্থলে ফিরছে রাষ্ট্রদূত

পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে। পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত সপ্তাহে দুই দেশ একে অন্যের সীমানার ভেতরে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েনের আশঙ্কা দেখা দেয়। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের প্রতি উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানায় এবং চীন উভয় দেশের মধ্যে মধ্যস্থতারও প্রস্তাব দেয়। গত শুক্রবার টেলিফোনে কথা বলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি এবং ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হোসেইন আমির আবুদল্লাহিন। তারা সন্ত্রাস দমনে নিবিড় সমন্বয় ও পারস্পরিক উদ্বেগের বিভিন্ন বিষয়ে শক্তিশালী অবস্থান নেয়ার বিষয়ে একমত হন। তারা এ দুজন পরিস্থিতি শান্ত করার বিষয়েও একমত হন। উভয় দেশের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুপক্ষে মোট ১১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

হামলার পর দুই দেশই নিজ নিজ রাজধানী থেকে আরেক দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় দুই দেশের রাষ্ট্রদূতই তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইরান পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মঙ্গলবার। ইরানের হামলার জবাবে পাকিস্তান বৃহস্পতিবার ইরানের সীমানার ভেতরে হামলা চালায়। ইরান জানায় যে, পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে নয়জন নিহত হয়েছে। দুই দেশের হামলা-পাল্টাহামলাকে কেন্দ্র করে পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতির আশঙ্কা তৈরি হলে পাকিস্তান আলোচনার মাধ্যমে ‘সব বিষয়ের’ সমাধানের আগ্রহ প্রকাশ করে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ফোনালাপের সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রস্তাব তোলেন।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দ্বিপাক্ষিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার ভিত্তিতে ইরানের সঙ্গে ‘সব বিষয়ে’ কাজ করার জন্য পাকিস্তানের আগ্রহের বিষয়টি ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিলানি। তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয়েও রাজি হন। দুই দেশের রাষ্ট্রদূতরা যেন অপর দেশের রাজধানীতে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেন সে বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিলেও ইরানের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইরানের সারাভান শহরে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তা বড় পরিসরের জঙ্গি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে যে, তারা ইরানের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রাখে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, এই ‘নিখুঁত হামলা’ ড্রোন, রকেট আর দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে চালানো হয়েছে। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চালানো ওই হামলায় সশস্ত্র সংগঠন বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি আর বেলোচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলাগুলো চালানো হয়েছে বলে দাবি করছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এই দুইটি গ্রুপই কয়েক দশক ধরে স্বাধীন বেলুচিস্তানের দাবিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান অঞ্চল দেশটির সবচেয়ে বড় প্রদেশ। পাকিস্তানের মোট ভূমির প্রায় ৪৪ শতাংশ বেলুচিস্তানে। তবে দেশটির মোট জনসংখ্যার (২৪.১ কোটি) মাত্র ৬ শতাংশ বাস করে ওই অঞ্চলে। ওই প্রদেশটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় আর সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী হলেও দেশটির অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় এটি সবচেয়ে কম উন্নত। বেলুচিস্তান বলতে আসলে যে অঞ্চলটিকে বোঝানো হয় তা পাকিস্তানের সীমানার বাইরেও ছড়ানো। পাকিস্তানের বাইরে আফগানিস্তান আর ইরানেও বেলুচিস্তানের কিছু অংশ রয়েছে।

গত সপ্তাহে পাকিস্তান আর ইরানের মধ্যে যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তার দুটি হামলার ঘটনাই ঘটেছে বেলুচিস্তান অঞ্চলে। মঙ্গলবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি হয় পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান এলাকায়। আর বৃহস্পতিবার পাকিস্তান যে পাল্টা হামলা চালায় সেটা ছিল ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সিস্তান-বেলুচিস্তান অঞ্চলে।

বিশ্ব যখন ইসরায়েল-গাজা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উত্তপ্ত ঠিক সে সময়ই নতুন করে ইরান-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটলো। গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের সীমান্তবর্তী একটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দাবি, পাকিস্তানভিত্তিক সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী জাইশ আল-আদলকে লক্ষ্য করেই তারা ওই হামলা চালিয়েছে। এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তান-ইরান সীমান্তে সক্রিয়, যারা সবসময় ইরান সরকারের বিরোধিতা করে আসছে। জাইশ আল-আদলের অর্থ হচ্ছে ন্যায়বিচার ও সমতার পক্ষে যোদ্ধা। এরা নিজেদের ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে সুন্নি অধিকার রক্ষক হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। গত কয়েকদিনে তৃতীয় দেশ হিসেবে ইরানের হামলার শিকার হলো পাকিস্তান। এর আগে ইরান সোমবার ইরাকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদরদপ্তর এবং সিরিয়ায় আইএস-এর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তবে ওই হামলার দুই দিন পর নিজেদের ভূ-খণ্ডে ইরানের হামলার বিপরীতে দেশটিতে প্রতিশোধমূলক পাল্টা রকেট ও ড্রোন হামলা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ইরানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানা লক্ষ্য করে চালানো হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটি। এই দুই দেশের সীমান্তে বহু বছর ধরে এ ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্বের এমন উত্তাল অবস্থার মাঝে এরা নিজেদের মাঝে আবার কোনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে কি না। আর যদি এরা নিজেদের মাঝে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে সামরিক শক্তির দিক থেকে কোন দেশ কতটা এগিয়ে?

পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে ইরান অনেক এগিয়ে। এমনকি দেশটির যুদ্ধ সরঞ্জাম চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তাদের ধারণা। এদিকে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৪ সালের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, সামরিক শক্তির দিক থেকে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের স্থান নবম। অন্যদিকে ইরানের অবস্থান ১৪তম। ৬০টির বেশি উপাদান নিয়ে এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। এতে ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক, স্থানীয় শিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ, কর্মক্ষমতা এবং প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিশ্বের দেশের মর্যাদার বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সৈন্য সংখ্যার দিক থেকে ইরানের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনীর সর্বমোট সদস্য হলো ১৭ লাখ। এর মাঝে সক্রিয় সেনা সদস্য সাড়ে ছয় লাখ এবং রিজার্ভে আছে সাড়ে পাঁচ লাখ। এছাড়া আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য আছে পাঁচ লাখ।

অন্যদিকে ইরানের সামরিক বাহিনীর সদস্য হচ্ছে প্রায় ১২ লাখ। এর মাঝে সক্রিয় আছে ছয় লাখ ১০ হাজার এবং রিজার্ভে আছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ। আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য দুই লাখের বেশি।

ইরান ও পাকিস্তান এই দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাজেটে বড় পার্থক্য রয়েছে। ইরানের প্রতিরক্ষা বাজেট পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট ৯৯৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫১ হাজার ডলার। এই র‍্যাংকিংয়ের দেশগুলোর মাঝে দেশটি ৩৩তম অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে জনসংখ্যার দিক থেকে প্রথম সারির হলেও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ রয়েছে ৬৩৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮৯ ডলার। এক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান ৪৭তম।

ইরানের মোট সামরিক বিমান রয়েছে ৫৫১টি আর পাকিস্তানের রয়েছে এক হাজার ৪৩৪টি বিমান। কিন্তু এসবের মধ্যে শুধু য্দ্ধুবিমান ইরানের রয়েছে ১৮৬টি। অন্যদিকে পাকিস্তানের আছে ৩৮৭টি। ইরানের আক্রমণকারী বা অ্যাটাকিং বিমান রয়েছে ২৩টি। অন্যদিকে পাকিস্তানের আছে ৯০টি। তবে পরিবহনের জন্য ইরানের বিমান সংখ্যা বেশি। তাদের রয়েছে ৮৬টি বিমান। কিন্তু পাকিস্তানের আছে ৬০টি। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর কাছেই সাধারণ হেলিকপ্টার রয়েছে। এর মাঝে ইরানের আছে ১২৯টি। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে তিনগুণ বেশি অর্থাৎ ৩৫২টি বিমান। আক্রমণকারী বা অ্যাটাকিং হেলিকপ্টারের দিক থেকেও পিছিয়ে ইরান। দেশটির মোট আক্রমণকারী হেলিকপ্টার রয়েছে ১৩টি যেখানে পাকিস্তানের রয়েছে ৫৭টি। পাকিস্তানের মোট ট্যাঙ্কের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৪২টি। ইরানের রয়েছে এক হাজার ৯৯৬টি। এরকম বাহন ইরানের রয়েছে ৬৫ হাজার ৭৬৫টি এবং পাকিস্তানের ৫০ হাজার ৫২৩টি।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকায় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের দিক বিবেচনায় পাকিস্তান অনেকটা এগিয়ে। ইরানের সেলফ-প্রোপেলড আর্টিলারি আছে ৫৮০টি, পাকিস্তানের ৭৫২টি। ইরানের টাওড আর্টিলারি (টেনে নিয়ে যাওয়ার কামান) আছে দুই হাজার ৫০টি, পাকিস্তানের তিন হাজার ২৩৮টি। তবে ইরানের রকেট আর্টিলারি ৭৭৫ টি থাকলেও পাকিস্তানের আছে মাত্র ৬০২টি। ইরানের নৌবাহিনীর কাছে মোট ১০১টি যুদ্ধযান রয়েছে। আর পাকিস্তানের আছে ১১৪টি। ইরানের ফ্রিগেট (দ্রুতগামী মাঝারি যুদ্ধজাহাজ) রয়েছে সাতটি, পাকিস্তানের নয়টি। ইরানের কর্ভেট (ছোট আকারের যুদ্ধজাহাজ) আছে তিনটি, পাকিস্তানের সাতটি। ইরানের সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ আছে ১৯টি কিন্তু পাকিস্তানের আছে আটটি। ইরানের প্যাট্রোল নৌযান (টহল জাহাজ) আছে ২১টি, পাকিস্তানের আছে ৬৯টি। ইরানের কোনও ডেস্ট্রয়ার না থাকলেও পাকিস্তানের দুইটি ডেস্ট্রয়ার রয়েছে। ইরানের মাইন যুদ্ধজাহাজ রয়েছে একটি, পাকিস্তানের আছে তিনটি। এসব যুদ্ধযানের মধ্যে ইরান ও পাকিস্তান কারও কোনো বিমানবাহী রণতরী নেই। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, সামরিক দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্ক, ও ইতালি।

সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের ৯টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় পাকিস্তানের নাম থাকলেও ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিলো না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুদ দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। এদিকে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেনি যে কোন দেশের হাতে কতটি এ ধরনের অস্ত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র ক্ষমতার বিষয়টি তারা তাদের রিপোর্টে বিবেচনায় নেয়নি। সামরিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলে থাকেন যে, পারমাণবিক অস্ত্র যুদ্ধের ক্ষেত্রে অনেকটা ডেটেরেন্ট বা নিবৃত্তকরণের উপাদান হিসেবে কাজ করে, কারণ শেষ পর্যন্ত এ ধরনের অস্ত্র কেউ ব্যবহার করতে চাইবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত