শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর সুমাইয়া (২০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন-পূর্বক মূলহোতা তার স্বামী শেখ রাব্বি হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব-৪ ও র্যাব-৬ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল। গত শনিবার দিবাগত সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের মনিরামপুর থানাধীন রহিতা শেখপাড়া এলাকায় যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত সুমাইয়া খুলনার পাইকগাছা থানাধীন মালথ এলাকার মনির উদ্দিনের মেয়ে। সে তার স্বামীর সঙ্গে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ইয়াকুব আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকত।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত ১১ জানুয়ারি বিকালে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় জনৈক ইয়াকুব আলীর ভাড়া বাড়ি থেকে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং র্যাব তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মৃতদেহ শনাক্ত করে।
পরে বিষয়টি নিহতের পরিবারকে জানানো হলে সুমাইয়ার ভাই বাদী হয়ে গত ১২ জানুয়ারি আশুলিয়া থানায় শেখ রাব্বি হোসেনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, র্যাব-৪, সিপিসি-২ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে র্যাব ৪ সিপিসি ২ নিশ্চিত হয় যে, ঘটনার মূলহোতা সুমাইয়ার স্বামী রাব্বি।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ সিপিসি-২ ও র্যাব-৬ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে যশোর থেকে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বী জানায়, ৩ বছর আগে গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে সুমাইয়ার সাথে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং পরবর্তীতে বিয়ে করে। বিয়ের ২ বছর পর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা এবং কলহ লেগে থাকত। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ জানুয়ারি দুপুরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাব্বী ক্ষিপ্ত হয়ে সুমাইয়াকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে কক্ষে তালা দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি নিহত সুমাইয়া আক্তারকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।