পুলিশের সাংবাদ সম্মেলন
মুক্তাগাছায় অটোরিকশা বিক্রির টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে খুন হন শামীম
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ময়মনসিংহ ব্যুরো
ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ধান খেতে পড়ে থাকা অটোরিকশা চালক মো: শামীম হকের (২৬) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষমতা দেখিয়েছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে খুনি মো: রাকিবুল ইসলাম (২৩)।
গতকাল দুপুর দেড়টায় ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শামীম আহম্মেদ।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, নিহত শামীম হক এবং খুনি রাকিবুল ইসলাম দুজনেই উপজেলার তারাটি চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা পেশায় অটোচালক। এর মধ্যে খুনি রাকিবুল ঋণগ্রস্ত হওয়ায় সে কিস্তির টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিল। অপরদিকে নিহত শামীমও মোবাইল কেনার জন্য টাকার অভাবে ভুগছিল। এ অবস্থায় দুজনেই পরিকল্পনা করে শামীমের ভাড়ায় চালিত অটোরিকশাটি বিক্রি করে টাকা ভাগ করে নেবে এবং মালিককে বলবে অটোরিকশা চুরি হয়ে গেছে।
ওই পরিকল্পনামতেই তারা গত পরশু ১৯ জানুয়ারি ওই অটোরিকশাটি নিয়ে পার্শ্ববর্তী জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি বাজারে গিয়ে ১০ হাজার টাকায় অটোরিকশাটি বিক্রি করে শামীম ২ হাজার টাকা দেয় রাবিকবুলকে। এতে রাকিবুল ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমকে খুনের পরিকল্পনা করে মুক্তাগাছা উপজেলার বিরাশি গ্রামের একটি নির্জন স্থানে গিয়ে তার জ্যাকেটের ফিতা খুলে শামীমের গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে, মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় অটোরিকশাটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি জানিয়েছেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, খুনির এই বক্তব্যে কোনো সাংঘর্ষিকতা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো: ফারুক হোসেন প্রমুখ।
এর আগে গত শনিবার দুপুরে উপজেলার বিরাশি গ্রামের একটি ধান খেত থেকে নিহত অটোরিকশা চালক শামীম হকের মরদেহ উদ্ধার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। পরে ওইদিনই নিহতের বাবা মো: সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞতাদের আসামি করে এই মামলা করলে ঘটনার তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ।