দিনাজপুরে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন
ন্যায্যমূল্য পেলে বেড়ে যাবে চাষাবাদ
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ সিদ্দিক হোসেন বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে
দিনাজপুরে শীতকালীন সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জেলার অনেক স্থানেই গড়ে উঠেছে সবজি পল্লি। অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় এবার সবজি চাষে ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে অনেকেরই। জেলার বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে পালংশাক, মুলা, বেগুন, লালাশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কলমিশাক, ঢ্যাঁড়স, পুঁইশাক, বরবটি, করলা, শশা, লাউ, চিচিংগা আবাদ করছে কৃষক। শীতকালীন সবজির পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি এসব শাকসবজি বাজারে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজার দর ভালো পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এলাকার চাহিদা পূরণ হয়ে জেলার বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। সবজি চাষ করে তারা প্রতি বিঘা জমি থেকে লাভ করছেন ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। কৃষকরা জানান, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ও লালশাক মিষ্টি কুমড়া, লাউ, করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি খেত থেকে পাইকার এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় এবার ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে আরো বেশি জমিতে। এর মধ্যে শীতকালীন আগাম সবচি চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে বিরামপুর, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, বীরগঞ্জ, বিরল, সদর ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় এবার শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব সবজি। এ ধরণের স্বল্প মেয়াদি শাকসবজি আবাদ কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করবে বলে জানান স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুজ্জামান জানান, লাভজনক ফসল হওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এবং ন্যায্যমূল্য পেলে এ অঞ্চলে শীতকালীন আগাম সবজিচাষ আরো বেড়ে যাবে বলে মন্তব্য করছেন কৃষিবিদরা।