ব্রিটিশ গায়িকা-গীতিকার রকার ব্রোকার্ড। ৪০ বছর বয়সে তিনি এমন এক নতুন জীবনের যাত্রা শুরু করেছিলেন, যা অনেককে বিস্মিত এবং কৌতূহলী করে তুলেছিল। তিনি ভিক্টোরিয়ান যুগের একটি ভূতকে বিয়ে করেছিলেন। একটি সৈনিক ভূত, যাকে তিনি ভালোবেসে এডওয়ার্ডো নামে ডাকতেন। রকারের মতে এডওয়ার্ড বেশ সুদর্শন। ব্রোকার্ডের মতে, তাদের প্রেমের গল্পটি একটি রাতে শুরু হয়েছিল যখন এডওয়ার্ডো রহস্যজনকভাবে তার বেডরুমে হাজির হয়। ৫ মাসের মধ্যে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় হতে শুরু করে। ২০২২ সালে হ্যালোউইনের ভয়ঙ্কর রাতে দুজনে ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি বিনিময় করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের বিবাহের অগ্রগতির সাথে সাথে অদ্ভুত এবং অস্থির ঘটনাগুলো সামনে আসতে শুরু করে। ব্রোকার্ড প্রকাশ করেছেন যে তাদের হানিমুন চলাকালীন ওয়েলসের ব্যারি আইল্যান্ডে, এডওয়ার্ডোর আচরণ অপ্রত্যাশিত ছিলো। তার মধ্যে অধিকারবোধ হঠাৎ তীব্র হয়ে ওঠে। মার্কিন অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর প্রতি তার আসক্তি বাড়তে থাকে। এডওয়ার্ডো নাকি মাঝেমধ্যে কয়েক দিনের জন্য অদৃশ্য হয়ে যেত। সে চ্যানেল-৫ সুগন্ধি ব্যবহার করত। যখন দীর্ঘদিন বাদে সে ফিরে আসত, তার দেহের সুগন্ধির ঘ্রাণ পেতেন ব্রোকার্ড। তিনি মাঝেমধ্যে এডওয়ার্ডোর সাথে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করতেন কিন্তু তাতে লাভ হতো না। এডওয়ার্ডোর রাগে অস্থির হয়ে উঠতেন ব্রোকার্ড। ধীরে ধীরে এই ভৌতিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে ‘এক্সরসিজম’র সাহায্য নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন ব্রোকার্ড। এক্সরসিজম প্রক্রিয়ার সময় এডওয়ার্ডো এবং একটি শিশুর চিৎকারের শব্দ তাকে মানসিকভাবে উদ্ভ্রান্ত করতে শুরু করে। অবশেষে পরিস্থিতি বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে পৌঁছে যায়। ব্রোকার্ড এই কার্য সম্পাদন করার জন্য একটি শারীরিক মাধ্যমের সাহায্য চেয়েছিলেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কঠোর প্রচেষ্টা অনুসরণ করে শেষ পর্যন্ত এডওয়ার্ডোকে তার জীবন থেকে বের করে দিতে সফল হন ব্রোকার্ড। এডওয়ার্ডোর অস্থির আত্মাকে জীবন থেকে তাড়ানোর পর মুক্তির স্বাদ অনুভব করেন ব্রোকার্ড। এডওয়ার্ডো জীবন থেকে চলে যাওয়ার পর জীবন এখন আরো আনন্দময় ও উদ্বেগহীন হয়ে উঠেছে বলে জানাচ্ছেন ব্রোকার্ড। শুধু তাই নয়, ‘ব্রোকার্ড জাস্ট আদার’ নামের একটি গানও লিখে ফেলেছেন তিনি।