ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি

পঞ্চগড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

পঞ্চগড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও হাড় কাঁপানো শীত অব্যাহত রয়েছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো জেলা। সঙ্গে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলায় বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

গতকাল মঙ্গলবার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একদিন সূর্য দেখার পর আবার ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পুরো জেলা। ঘন কুয়াশার সঙ্গে শিশির ও হিম বাতাসে ঝরছে শীতের পারদ। শহর ও গ্রামীণ সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। টানা তীব্র শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের মধ্যে। জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।

১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইদিন পাঠদান ও মাধ্যমিকে ৩ দিন পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলার শিক্ষা কার্যালয়। তবে প্রাইভেট, কোচিং ও শিশু শ্রেণির মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের যেতে দেখা গেছে।

এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। আয় কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ আক্রান্ত হওয়ার পরও চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার রেজাউল করিম রাজু সাংবাদিকদের জানান, শীতে হাসপাতালে শীতজনিত রোগ নিয়ে প্রচুর রোগী আসছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু। শীত বাড়লে এই রোগ আরো বাড়বে। শীতজনিত রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে তাদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, শীতপ্রবণ জেলা হিসেবে প্রতি বছর পঞ্চগড়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত কম্বল বিতরণ করা হয়। এবারো প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবেও এ অঞ্চলের শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত