কক্সবাজারের উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে অবস্থিত পাহাড়। ক্যাম্প থেকে অনুমানিক ৫ কিলোমিটার গহিনে নিরাপদ আস্তানা তৈরি করেছে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আরসার সন্ত্রাসীরা। চারপাশ সবুজ হলেও এ পাহাড়ের নাম লাল পাহাড়। যেখানে ভয়ে সহজে কেউ যায় না। আর সেই পাহাড়ে দিনে অবস্থান করে রাতে ক্যাম্পে এসে নাশকতা, হত্যার মিশন বাস্তবান করে থাকে ‘আরসা’। সেই লাল পাহাড়ের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি ২২টি অস্ত্র, চারটি মাইন, মাইন তৈরির সরঞ্জাম, একে-৪৭ সহ বিভিন্ন অস্ত্রের ১০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব ১৫। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরসার তিন সন্ত্রাসীকে।
গতকাল ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। গ্রেপ্তার মো. উসমান, নেছার আহমদ ও মো. ইমান উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা ও আরসার নানা দায়িত্ব প্রাপ্ত। লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, লাল পাহাড়ে আরসা সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে অভিযানে নামে র্যাব। পুরো পাহাড় ঘিরে র্যাব। কিন্তু র্যাবের অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যায় অনেকেই। কিন্তু ধাওয়া দিয়ে ধরা হয় উসমান, নেছার ও ইমানকে। আর আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয় দেশি বিদেশি ২২টি অস্ত্র, ১০০ রাউন্ড গুলি, চারটি মাইন, মাইন তৈরির সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ।
তিনি জানান, আরসার শীর্ষ গান কমান্ডার উসমান, মাইন তৈরিতে পারদর্শী নেছার ও গুলি চালাতে পারদর্শী ইমান। তিনজনই দিনে অবস্থান করে লাল পাহাড়ের আস্তানায়। যেখান রয়েছে দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাইন, যা নিয়ে রাতে ক্যাম্পে হামলা করে বলে স্বীকার করেছে। র্যাব জানায়, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর নির্দেশে ক্যাম্পে গড়ে তোলা হয় ১২টি গান গ্রুপ। যারা ক্যাম্পে নাশকতা করছে। এ ব্যাপারে মামলা করে গ্রেপ্তারদের উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। গেল বছর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পগুলো থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার ৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।