অবৈধ দখলদার-লুটেরাদের স্থান ফরিদপুরের মাটিতে হবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ফরিদপুর হবে রাজনীতির মডেল। এই জনপদকে শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
গতকাল বিকাল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পৌর বাস টার্মিনাল চত্বরে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র সেলিম রেজা লিপন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর ও এমএ মতিন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানকে নৌকা উপহার দেন।
মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান বক্তব্যের শুরুতেই আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আজ এক ভিন্ন পরিচয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। একজন রাজনৈতিক কর্মী দলের দায়িত্ব পায়, তারপর সেই দল যখন ক্ষমতায় যায়, সেই ক্ষমতার একজন অংশীদার হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। মন্ত্রী বলেন, একমাত্র অর্থই এই সমাজের মানুষকে বন্দি করতে পারে না। নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এই ফরিদপুর-১ আসনের সবচেয়ে বড় অর্থ লুণ্ঠনকারী ৯২ কোটি টাকা খরচ করেও আপনাদের মাথা কিনতে পারেনি। ফরিদপুরকে একটি শান্তির জায়গা করে দিয়ে যেতে চাই। আর এই তিন উপজেলাকে আমি উন্নয়নের এমন মহাসড়কে নিয়ে যাব, যাতে আমার মৃত্যুর পরও মানুষ মনে রাখে।
তিনি বলেন, আমি প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করি না। যারা আমাকে ভোট দিতে পারেননি, তাদের প্রতিও আমার কোনো আক্ষেপ নেই। সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে চাই। দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মী কথা কখনো ভুলব না।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জনগণ ভোট দিতে বারণ করেছিল। বিএনপির ডাকে সাড়া না দিয়ে ৭ তারিখে জনগণ ভোট দিয়েছে। সামনে আরো নির্বাচন আছে। সেই নির্বাচনে আমি বিএনপিকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই। আপনারা সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে রাজনীতির মাঠে আসুন।
বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিরদাহ পিকুলের সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক আরিফ, বোয়ালমারী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেলিম রেজা লিপন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্যামল ব্যানার্জী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট লিয়াকত হোসেন শিকদার। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সহধর্মিণী ও মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা।
এর আগে গণসংবর্ধনাস্থলে পৌছালে পুলিশের একটি চৌকস দল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।