প্রচণ্ড শীতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। সমাজের বিত্তশালীদের অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আর কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই আবার কাজের ফাঁকে ডালপালা কাগজ জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে তীব্র শীতে বোরো বীজতলা ও আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। শীত থেকে রক্ষা পেতে বীজতলাগুলো অনেকে সাদা প্লাস্টিকের কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখছেন।
আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে জমিতে চারা রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা। হঠাৎ বেশ কিছুদিন ধরে ঘন কুয়াশা মৃদু বাতাস আর প্রচণ্ড শীতের কারণে, চারার গোড়া বা পাতা পচে যাচ্ছে এবং হলুদ বর্ণ হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এদিকে সূর্যের আলো ঠিকমতো না পাওয়ায় বোরোর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
এ অবস্থায় বীজতলা রক্ষায় উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে কৃষকদের পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করতে বলা হলেও তেমন একটা কাজ হচ্ছে না বলে জানান চাষিরা। এ বছর বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা মাঘ মাসের ১৫-২০ দিনের মধ্যেই বোরো চাষ শুরু করতে হয়।
এবার শীতের কারণে বীজতলার চারার প্রায় ৪০ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বোরো চাষ নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করলেও বোরো আবাদ দেরি হয়ে যাবে। ফলে ধানের ফলন কম হবে। এতে করে কৃষকরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তীব্র শীতের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে চারা রক্ষায় কোথাও বীজতলায় ছাই ছিটিয়ে, কোথাও ওষুধ ছিটিয়ে চারা রক্ষার চেষ্টা করছেন। বর্তমান যে পরিস্থিতি এতে করে বুঝতে বাকি থাকে না যে, বোরো বীজতলা ও আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি বিভিন্ন জানান বীজতলা এখনো নষ্ট হয়নি, তবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকার কারনে হয়তো, চারা খাদ্য গ্রহণ করতে না পেরে পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নীলফামারী সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বীজতলা নষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিটি কৃষকদের বাড়তি যত্ন ও সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। জেলা সদরের কুন্দুপুকুড় ইউনিয়নের কৃষক মাহফুজার বলেন, এই প্রচণ্ড শীতে যেন কৃষকরা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পান এবং চরম ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হন, যাদের কষ্টের ফসলে দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ, সেই কৃষকদের বাঁচাতে সরকারকে অবশ্যই আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবু বকর মো. সাইফুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এবার উৎপাদিত লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার ২২ হেক্টর, জমির উৎপাদিত লক্ষ্যমাত্রা ৮১ হাজার ৮৫৩ হেক্টর, উৎপাদিত ৩ হাজার ৮০০, তীব্র শীতের কারণে কিছুটা ব্যহত হয়েছে।