ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সৈকতে পর্যটক বেশে চোরচক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার

সৈকতে পর্যটক বেশে চোরচক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ‘পর্যটক বেশে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের’ এক নারী সদস্যকে চুরি করার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া নারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আপেল মাহমুদ জানান, গত শনিবার দুপুরে কক্সবাজার সদর থানায় গ্রেপ্তার নারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।

গ্রেপ্তার নারী রফিকা বেগম (৩৫) কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কলাতলী আদর্শগ্রাম এলাকার মোহাম্মদ শাহেদের স্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকেন্দ্রিক পর্যটকবেশী সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র সক্রিয় রয়েছে। চক্রটির কয়েকজন নারী সদস্যও রয়েছে। এ চক্রের সদস্যদের সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করাই মূল কাজ।

আপেল মাহমুদ বলেন, গত শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। এক পর্যায়ে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকবেশী এক নারী কর্তৃক আরেক পর্যটক নারীর ব্যাগ থেকে সুকৌশলে মোবাইল চুরি করার দৃশ্যটি সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা দেখতে পায়। এ সময় পুলিশ ওই নারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।

পরে গ্রেপ্তার ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে সমুদ্রসৈকতকেন্দ্রিক পর্যটকবেশী সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। ওই চক্রটি প্রতিনিয়ত পর্যটকদের মোবাইলসহ মূল্যবান মালামাল চুরি সংঘটিত করে আসছে। গত ২৪ জানুয়ারিও গ্রেপ্তার নারী সৈকতে ঘুরতে আসা এক নারীর কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরির তথ্য স্বীকার করেছে।

অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্য শিমুল হোসেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ওইদিন সৈকতে ঘুরতে এসে তার স্ত্রীর কাছ থেকে পর্যটকবেশী জনৈক নারী কর্তৃক মোবাইল ও নগদ ৫ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ করেন।

পরে ট্যুরিস্ট পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই নারীকে শনাক্ত করে। এরপর থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তারে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে নজরদারি শুরু করে। এতে শুক্রবার বিকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক পর্যটক নারীর সাথে থাকা ব্যাগ থেকে কৌশলে মোবাইল চুরির সময় হাতেনাতে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

আপেল মাহমুদ জানান, ঘটনায় সেনা সদস্য শিমুল হোসেন শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার নারীকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন। কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ রকিবুজ্জামান জানান, শনিবার দুপুরে শিমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা চুরির হওয়ার অভিযোগে এক নারীকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে ওই নারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। গ্রেপ্তার নারী আসামিকে কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত